বহু আলোচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগ নেতা, স্থানীয় কাউন্সিলর সাবের আহাম্মেদ এবং জাতীয় পার্টির নেতা ওসমান খানসহ ৫২ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জহির হোসেন আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দেন। চার্জশিটে বলা হয়, গণপিটুনির আড়ালে মহিউদ্দিন সোহেল হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক সাবের আহাম্মেদ এবং পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজার সমিতির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাতীয় পার্টির নগর কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ওসমান খানকে। দুইজনই বর্তমানে জামিনে আছেন। জাবেদ নামে এক আসামি বন্দুকযুদ্ধে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
অন্য আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন শাহাদাত খান রাসেল, শওকত খান রাজু, শরীফ খান, আবদুর রহমান, সালাউদ্দিন ওরফে রাসেল মির্জা, আবদুল্লাহ আল মামুন ওরফে জুয়েল মির্জা, আজাদ হোসেন, দিদারুল আলম, নুর মোহাম্মদ, মামুন, মাকসুদুর রহমান, মঞ্জুর আলম, আলাউদ্দিন, পারভেজ, বুলবুল আহম্মদ, মোবারাক হোসেন, শরিফুল আলম স্বপন, সাহাবুদ্দিন, রেদোয়ান ফারুক, খাইরুদ্দিন খান, সিরাজ, মো লিটন, মহসীন, ফকির আহম্মদ, আলী ভান্ডারি, আবদুর রশিদ।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক হওয়ার আগে সোহেল ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন। সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে তার পরিচিতি ছিল। গত ৭ জানুয়ারি নগরীর পাহাড়তলী রেলওয়ে বাজারে মহিউদ্দিন সোহেলকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। জানা যায়, এলাকায় চাঁদাবাজি নিয়ে আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে এ হত্যাকা- ঘটে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, হত্যার পর ঘটনাকে গণপিটুনি বলে চালিয়ে দেয় খুনিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন