যশোর ও ঝিনাইদহের বিভিন্ন সীমান্তের ওপারে বিএসএফ আরো কিছু বাংলাভাষী নারী, পুরুষ ও শিশুকে জড়ো করেছে বাংলাদেশে পুশ ইনের জন্য। সীমান্তের ওপারের একাধিক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সর্বশেষ ১৯তারিখ ওপার থেকে ঠেলে পাঠানো ৪৯জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বিজিবি আটক করে থানায় দেয়। এরপর আর কোন ধুড় বা ওপার থেকে পাঠানো কাউকে থানায় দেওয়া হয়নি। বিজিবি’র সূত্র বলেছে, নতুন করে কাউকে বিএসএফ ঠেলে পাঠায়নি। সীমান্তে অনুপ্রবেশরোধে সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
ওপারের সূত্র জানায়, ব্যাঙ্গালুরের একটি হোমে আটক ছিলেন ৫৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে বনগাঁ সীমান্তপথে বাংলাদেশে পুশ ইনের জন্য আনা হচ্ছে। আনান্দবাজার পত্রিকাও এমন খবর প্রকাশ করেছে। শুক্রবার অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তাদের ট্রেনে আনা হচ্ছে।
পত্রিকাটি উল্লেখ করেছে, ব্যাঙ্গালুর পুলিশের দাবি করেছে আটককৃতদের কাছে ভারতীয় নাগরিকত্বের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদেও তারা নিজেদের বাংলাদেশি বলে স্বীকার করেন এবং কোনো কাগজপত্র ছাড়াই তারা ভারতে প্রবেশ করে। ওপারের সূত্র বলেছে, ৫৭ জন নয়, ২৭ জনের একটি দলকে সীমান্তে আনা হচ্ছে পুশ ইনের জন্য।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তের ওপারেও আরো বিছু বাঙলাভাষীকে বিএসএফ পুশ ইনের জন্য শুক্রবার জড়ো করেছে বলে সীমান্তের সূত্র জানায়। যাদবপুরের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওপারের মধুপুর, মরছমপুর, হরিহর ও পুলিয়া সীমান্তে কিছু কিছু পুশ ইনের জন্য জড়ো করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এপারের সীমান্তবাসীরা অনুপ্রবেশরোধে সতর্ক আছে বলে ওই চেয়ারম্যান জানান। এজন্য সীমান্তের গ্রামে সগ্রামে কমিটিও গঠণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন