মোঃ মানজুরুল হক, কুলাউড়া থেকে : বাংলাদেশ রেলওয়ের কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেল সেকশন দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকা সেই লাতুর ট্রেন চালুর পুনর্বাসন প্রকল্পের মেয়াদ আরো দুই বছর বাড়িয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির পরিপেক্ষিতে ভারতীয় ঋণে ছয় বছর আগে এ রেলপথ চালুর উদ্যোগ নেয় সরকারের রেলপথ মন্ত্রণালয়। কিন্তু চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত প্রকল্পটির বিপরীতে এক টাকাও ব্যয় হয়নি। ৬৭৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবারও দুই বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৭ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার নতুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন অনিশ্চিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শুধু এ প্রকল্প নয়, ভারতের প্রথম ঋণের আওতায় ২০১০ সালে নেয়া ১৪টি প্রকল্পের মধ্যে ৭ প্রকল্পে স্থবিরতা বিরাজ করছে। মোট ৮৬ কোটি ২০ লাখ ডলারের মধ্যে ছাড় হয়েছে মাত্র সাড়ে ২৮ কোটি ডলার। এ হিসাবে দুই-তৃতীয়াংশ অর্থ এখনও ছাড় হয়নি। এ পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেকটি প্রকল্প পর্যালোচনার জন্য দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে গতকাল বুধবার। এ বৈঠকে দ্বিতীয় এলওসির ২০০ কোটি ডলারের প্রকল্পের অবস্থাও পর্যালোচনা করা হবে।
এ প্রকল্প নিয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-ভারতের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। এছাড়াও দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও হাইকমিশন এবং প্রকল্পের পরিচালকদের মধ্যেও বৈঠক হয়েছে।
বন্ধ থাকা এ রেলপথের যোগাযোগ পুনঃস্থাপন নিয়ে কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ (সাবেক লাতুর ট্রেন) চালুর বিষয় নিয়ে গত বছরের ২৯ ও ৩০ নভেম্বর ‘গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ’-এর কনফারেন্স রুমে মৌলভীবাজারে ভারত-বাংলাদেশের জেলা প্রশাসকের মধ্যে আলোচনা হয়। ৯ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন আসাম রাজ্যের কাচাড় জেলার ডেপুটি কমিশনার ম্যাজিস্ট্রেট (ডিএম) জে বিশ্বাস। আর ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান।
মন্তব্য করুন