গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা : রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি, কালুখালী ও ফরিদপুর জেলার মধুখালী, বোয়ালমারীসহ কয়েকটি উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে চন্দনা নদী। এক সময় এ নদীতে সারা বছর থাকতো পানি পাওয়া যেত দেশীয় প্রজাতির নানা ধরনের মাছ। অবৈধ দখল আর ময়লা আবর্জনা ফেলে এ নদী এখন মৃতপ্রায়।
এলাকাবাসী জানায়, এক সময় চন্দনা নদীতে সারা বছরই সামান্য পানি থাকার কারণে প্রচুর পরিমাণ দেশীয় জাতের মাছ পাওয়া যেত, এখন মাছ তো দূরের কথা পানিই নেই। যেটুকু পানি আছে তাও আবার ময়লা-আবর্জনা ফেলে দূষিত করেছে নদীর পাশে থাকা ব্যবসায়ীরা। পানিতে গোছল করতে গেলে সারা শরীরে চুলকানিসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হচ্ছে। নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও মাছের অভয়ারণ্য সৃষ্টির লক্ষ্যে গতবছরের জুনে প্রায় ৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চন্দনা নদী পুনঃখনন করা হলে মৎস্য বিভাগ কর্তৃক চন্দনা নদীকে মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়। কিন্তু নদীর দু’পাশ প্রতিনিয়তই দখল হয়ে যাওয়ার কারণে নদী আবারও নাব্যতা হারিয়েছে। বালিয়াকান্দি উপজেলার মৎস্যজীবীরা জানান, এক সময় অল্প সময়ে তারা প্রচুর মাছ শিকার করতে পারতো আর এখন সারাদিন নদীতে জাল ফেলার পরও দেড় থেকে দুই শত টাকা বিক্রি করতে তাদের কষ্ট হয়। প্রায় ৭৬ কিলোমিটার লম্বা চন্দনা নদীটি কালুখালী, সোনাপুর, রামদিয়া, তেঁতুলিয়া, বালিয়াকান্দি, জামালপুর, মধুখালী, বোয়ালমারীসহ নদীর দু’পাশ দিন দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। নদী দখল করে চলছে বাড়ী-ঘর নির্মাণসহ পাকা স্থাপনা নির্মাণ। তবে এসব দখলদারদের বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে নীরব ভূমিকা পালন করছে। এ সব কিছু স্বীকার করে পানিউন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, ইতিপূর্বে এসকল অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের জন্য তালিকা তৈরীর কাজ চলছে খুব তারা তারি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর এ বিষয়টি নজরে এনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন