পাখির কিচির মিচিরে সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠা আর হরেক রকম পশুপাখি ও বন্য প্রাণীর ভয়ঙ্কর শব্দে এক আনন্দময় ভয়ে ঘুমিয়ে পড়া মানুষ এখন বর্তমানে আর সেই আগের মত রোমাঞ্চকর অনুভূতি পায় না। স্বাধীনতার দীর্ঘ কয়েক বছরের ব্যবধানে গহীন অরণ্যমন্ডিত ভয়ঙ্কর বন্য প্রাণীর জন্য অনিয়ন্ত্রিত এলাকা হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী উপজেলার পশ্চিমে পাহাড় গুলো বর্তমানে পরিণত হয়েছে বিরাণ ভূমিতে।
এই অবস্থা বন্ধ ও যথাযথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না গেলে দ্রুত কয়েক বছরের মধ্যে এই পাহাড় মরুভূমিতে পরিণত হবে বলে মনে করছেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। হাটহাজারী উল্লেখযোগ্য ভূ-খন্ড জুড়ে গহীন জঙ্গল ও উচু নিচু পাহাড়ী এলাকা। বর্তমানে দিন কে দিন ধ্বংস হচ্ছে বনাঞ্চল কাটা হচ্ছে পাহাড়, পোড়ানো হচ্ছে বনজ কাঠ সব মিলে বিরাণ ভূমিতে পরিণত হচ্ছে এ জনপদ।
এক কালে এই পাহাড়ে দেখা যেতো হরিণ, বাঘ, হাতি, অজগর, বনজোরন, বনপাই কুকুর, কুক ময়না, টিয়া, তোতা এবং সাপসহ বহু প্রজাতির আরো অনেক নাম না জানা পশুপাখি। পাহাড়ে পশুপাখির হারিয়ে যাওয়ার কারণ হলো পাহাড় থেকে গাছ কেঁটে নেওয়ার কারণে ছোট বড় সব প্রজাতির গাছপালা সহ বনাঅঞ্চল ধ্বংস হচ্ছে এমনকি বৃষ্টির সময় পাহাড়ী ঢলের সাথে অজগর সাপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী এসে লোকালয়ে আটকা পড়ার নজিরও রয়েছে।
পাশাপাশি কাঠ চোরা কারবারিদের অর্থ উপার্জনের কাচাঁমাল হিসেবে র্নিবিচারে কাঠ কাটাঁয় হাটহাজারীর পশ্চিমে পাহাড় গুলো বনজ সম্পদ ও পশু পাখি রক্ষায় সরকারী কোনো দায়িত্ব না থাকার কারণে এই অবস্থা। গাছে গাছে ফুল ফোটা নতুন পল্লব গজানোর সময় শীত মৌসুমে গাছপালা কেটে উজাড়। বনবিভাগ নীরব ভূমিকায় থাকার কারণে অসাধু ব্যক্তিরা একের পর এক নির্যাতন চালিয়ে আসছে পাহাড় ও পাহাড়ের গাছগুলোর ওপর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন