লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে নিষিদ্ধ ইটভাটার মহোৎসব দেখা গেছে। বিভিন্ন গ্রাম এলাকার কৃষি জমিতে একের পর এক গড়ে উঠছে ইটের ভাটা। কমে যাচ্ছে ফসলী জমি। ভাটার চিমনির ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্টসহ নানা ধরনের রোগ বালাই ছড়াচ্ছে। ধোঁয়া ও ধুলা দূষণে বিষাক্ত হচ্ছে পরিবেশ। এতে পরিবেশ ও ফসল উৎপাদন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই বাংলা ছিমনীর ব্যবহার করা হচ্ছে। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার চরকাদিা ইউনিয়নে বাবুল কন্ট্রাক্টরের লতিফ বাংলাভাটার পরিচালক মো.বাহার মোল্লা, নোমান, মো. সুমন, আবুল কাশেম, শাহে আলম মাস্টার ও মোসলে উদ্দিন, হাজিরহাট ইউনিয়নে সবুজ ও চরফলকন ইউনিয়নে ফরহাদের কালো ধোঁয়ার বাংলা ভাটা দেখা যায়। ভাটাগুলোতে দিনরাত পোড়ানো হচ্ছে নিষিদ্ধ কাঠ। এসব ভাটার কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকা। এতে গাছ-পালা, পশু-পাখি ও মানুষের গলা ও ফুসফুসের জন্য মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী বাংলা ভাটার প্রভাবে ক্যান্সার রোগও রুপ নিতে পারে। এছাড়া শিশুদের স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করে। ভাটার চারদিকে ছড়িয়ে পড়া ছোট ছোট বালুকনায় চোখের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
এদিকে ফসলি জমির উর্বরতা হ্রাসসহ ফসলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে তার উপর বিরুপ প্রভাবও পড়ে। চরকাদিরা ইউনিয়নের কৃষক নোমান, মালেক, আবদুল গফুরসহ অসংখ্য কৃষক ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, বাংলা ভাটার কালো ধোঁয়ায় তার সবজির বাগান নষ্ট হয়ে গেছে। তারা আরো জানান, এসব বাংলা ভাটাগুলোর নেই কোন পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি। শুধুমাত্র স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চালাচ্ছেন ভাটা। স্থানীয়রা অভিযোগ করেও বাংলা ভাটা বন্ধে কোন সুফল পাচ্ছে না। অভিযোগ স্বীকার করে হাজিরহাট ইউনিয়নের মেসার্স এম.এফ.বি পরিচালক কামরুজ্জামান সবুজ জানান, প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রেখেই বাংলা ইটভাটা চালাচ্ছি। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট থেকে অনুমতি নিয়েই বাংলা ইটভাটা চালাচ্ছি। এবিষয়ে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ইমতিয়াজ হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন