শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সোনামসজিদ স্থলবন্দর পাথর আমদানি বন্ধ

শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ ডিসেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

সোনামসজিদ বন্দরে গত পক্ষকাল ভারত থেকে কোন পাথর আমদানি করছে না পাথর আমদানিকারকরা। ফলে স্থলবন্দরে প্রায় ৪-৫ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে রাজস্ব আয়ও কমে যাচ্ছে। জানা গেছে, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গত ১৫ নভেম্বরে সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৭ নভেম্বর থেকে আমদানি পাথরে টন প্রতি ৫০-৫২ টাকা টোল ও ফি দিতে হবে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে। এ ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী টোল ও ফি না দেয়ার প্রতিবাদে আমদানিকারকরা ভারত থেকে পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। অন্যদিকে সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রফতানিকারক গ্রæপের কবিরুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক তফিকুর রহমান বাবু জানান, ভারতীয় পাথর রফতানিকারকদের অতিরিক্ত মুনাফা, ভারতের মহদিপুর বন্দরে ১৫ কিলোমিটার দূরে শুনানি নামক স্থানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পাথর ইয়াদ তৈরি করে অহেতুক লোকাল ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পণ্য পুনঃ লোড করে বেশি ভাড়া প্রদানে বাধ্য করা, ইচ্ছাকৃতভাবে জট তৈরি করে বিলম্ব করিয়ে ট্রাক থেকে বিলম্ব ফি আদায়ে এমনিতেই লোকসানে পড়েছেন পাথর আমদানিকারকরা। তার ওপর সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বন্দর কর্তৃপক্ষ আগের মতো করে সুযোগ না দিলে এবং সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী টোল ও ফি বাবদ টনপ্রতি পাথরের জন্য বর্তমানে বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে টাকা দিতে হলে সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে কারো পক্ষেই পাথর আমদানি করা সম্ভব হবে না। তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে পাথরভর্তি ট্রাকের জন্য গুণতে হবে টনপ্রতি ১৫২ টাকা হারে। এক ট্রাক পাথরের জন্য ৫-৬ হাজার টাকা, আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সবার সিদ্ধান্ত ছিল ৭৮৩ টাকা। সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ বেলাল হোসেন জানান, আমদানি করা পাথর থেকে সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ সিডিউল অনুযায়ী টোল ও ফি আদায় না হওয়ায় গত ১৩ বছরে কয়েকশ’ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত সরকার। তিনি আরও জানান, ভারতের মহদীপুর স্থলবন্দর থেকে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে বিভিন্ন পণ্য যে সব যানবাহনে পরিবহন করা হয় তার শতকরা ৯০ ভাগই ফিটনেসবিহীন। এ সব পরিবহন পরিবেশের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ ও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। প্রতিদিনই এসব লক্কর ঝক্কর পরিবহন আমদানি রফতানি বাণিজ্যের গতিতে যানজট সৃষ্টি করছে। প্রায় দিনই দু’একটি গাড়ি বিকল হয়ে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি করছে। এ সকল ফিটনেসবিহীন ট্রাকগুলো পাথর রপ্তানিকারকরা ইচ্ছাকৃতভাবে সোনামসজিদ বন্দরে পাঠিয়ে বিড়ম্বনার সৃষ্টি করছে। তারা জানায়, মাত্র ১৫-১৬ কিলোমিটার দূর থেকে বর্ডারে আসতে ৪০ হাজার রুপি ভাড়া নেয়। যা পাথর আমদানীতে মূল্যবৃদ্ধি করছে। সোনামসজিদের ব্যবসায়ী সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ হতে আমদানিকারকগণ যেসব ব্যাংকের মাধ্যমে আমদানি ঋণপত্র খুলে থাকে সে সব আমদানি ঋণপত্রের (খ.ঈ) শর্তাবলীতে আমদানি পণ্যবাহি যানবাহনে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ফিটনেস সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়। তাহলে এই ফিটনেসবিহিন গাড়িগুলো সোনামসজিদে প্রবেশ করতে পারবেনা। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণপত্রে সংশ্লিষ্ট দেশের যানবাহনে ফিটনেস সার্টিফিকেট থাকা বাধ্যতামূলক। কড়া নজরদারি ব্যবস্থা করলে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে ব্যবসায়ীমহল মনে করছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন