টেকনাফ উপজেলা সংবাদদাতা : টেকনাফ সদর ইউনিয়নের বরইতলী গ্রামে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিক নুরুল আলম ওরফে বিয়াই। তার দুই ছেলে ফরিদ উল্লাহ ও এনায়েত উল্লাহ। পেশায় ছিলেন দিনমজুর, করতেন নাফ নদীতে মাছ শিকার। যখন মিয়ানমার থেকে বানের স্রোতের মত ইয়াবা আসছে তখনি এ পথে পা বাড়ান পিতাসহ দুই পুত্র। তার পাশাপাশি এ ব্যবসার হাল ধরেন ফরিদ উল্লাহর স্ত্রী রশিদাসহ তার আত্মীয়-স্বজন। অল্পদিনের ব্যবধানে আলাদীনের চেরাগ পেয়ে তারা এখন কোটিপতি।
মিয়ানমারের বুলিংগা নামক এক ব্যক্তি জইল্ল্যারদ্বীপ দিয়ে ইয়াবা পাঠায়, আর তা গ্রহণ করেন পিতাসহ এরা দুই ভাই। আবার সেই ইয়াবা নিয়ে ঢুকে পড়েন তাদের বরইতলীর বসতঘরে না হয় ১৪ নম্বর ব্রীজ বা নাইট্যংপাড়া দিয়ে টেকনাফে। তারা জইল্ল্যারদ্বীপ এলাকায় মাছ শিকারের পাশাপাশি জড়িয়ে পড়েছেন ইয়াবা, মদ, বিয়ার, ক্যারেন্ট জাল ও বাংলাদেশ থেকে ভোজ্যতৈল, মোবাইল, ফেন্সিডিল, গাঁজা, ইয়াবা তৈরীর সরঞ্জাম হিরোইনসহ নানান পণ্য পাচার কাজে।
এ পাচারকাজ অব্যহত রাখতে গিয়ে মিয়ানমার সীমান্ত বাহিনীকে মাসিক মাসোয়ারা দিতে হয়। এমনকি মাসোয়ারা দিয়ে বিজিবির সর্বোচ্চ ইয়াবা ও চোরাচালান আটককারী হাবিলদার লুৎফর রহমানকে হত্যা করার মিশন নেয়। ব্যর্থ হয়ে জইল্ল্যারদ্বীপ এলাকায় লুৎফরের উপর হামলা চালায়। এঘটনায় লুৎফর বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে ফরিদ উল্লাহ ও এনায়েত উল্লাহর পিতা নুরুল আলম ওরফে বিয়াইকে আসামি করা হয়। গতকাল ২৪ জুন ভোরে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লানপাড়ার তার নিজ থেকে টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদের নেতৃত্বে তাকে আটক করে। ওসি আবদুল মজিদ জানান, ২০১৬ সালের ১২ মার্চের টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নতুন পল্লানপাড়া থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পিস ইয়াবা আটকের ঘটনায় ফরিদ উল্লাহ ৬ নম্বর পলাতক আসামি। এই ২১/২৪১ নম্বর মামলায় তাকে আটক দেখিয়ে শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ফরিদ উল্লাহকে আটকের পর থেকে তার পিতা নুরুল আলম ওরফে বিয়াই ও ভাই এনায়েত উল্লাহ পলাতক রয়েছে এবং ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রেখেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন