রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ক্যারিয়ার

ক্যারিয়ার টিপস নেটওয়ার্কিংয়ের প্রতি নজর দিতে হবে

প্রকাশের সময় : ২৬ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কোন একটি পদে হুট করে গুটি কয়েক কর্মীর দরকার হয়ে পড়ল। অল্প কয়েকটি পদের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেয়াটা অনেক সময় চাকরিদাতার কাছে হাস্যকর হয়ে দাঁড়ায়। আশপাশের পরিচিত জনদের মধ্যে যোগ্য কেউ থাকলেই তো সব চুকে যায়। কী দরকার এ মহাযজ্ঞের। বিশ্বাস করুন, কোম্পানির মালিক হলে আপনিও এমনটা ভাবতেন, এতে দোষের কিছু নেই। তো পরিচিত গ-ির মধ্যে পাওয়া না গেলে ডাক পড়ে আশপাশের সহকর্মী ও অধস্তনদের। তাদের বলা হয়, আপনারাই খুঁজেই বের করুন না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর বেশি আর গড়ায় না চাকরির পানি।
গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান ছাড়া বেশিরভাগ চাকরিই বিজ্ঞপ্তির মুখ দেখে না। তাই বলে ওই বেশিরভাগ চাকরি কি আপনার নাগালের বাইরে থাকবে? যদি তা না চান তবে আপনাকে কৌশলে স্থান করে নিতে হবে সেই দ্বিতীয় স্তরটিতে, যেখানে আপনার চেয়ে গ-ির মধ্যে থাকবে দেশের সেরা চাকরিদাতা কিংবা কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভরা। আধুনিক কেতাবি ভাষায় যাকে বলা যায় নেটওয়ার্কিং। চাকরির বাজার ভালো অবস্থান ধরে রাখতে অবশ্যই আপনাকে গড়ে তুলতে হবে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক।
সিভির দিকে মনোযোগ দিন
সিভিতে অবশ্যই ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সুন্দরভাবে তুলে ধরা অবজেক্টিভ অবশ্যই নিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে। সর্বোচ্চ দুই-তিন লাইনের মধ্যে প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী নিজের শক্তিশালী দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। অবশ্যই তা যেন নিয়োগকারীদের বিরক্তির উদ্রেক না করে। সিভি যতটা সম্ভব সংক্ষিপ্ত করা ভালো। তবে পরীক্ষার ফল দ্বিতীয় শ্রেণীর হলে বা এর নিচে হলে না লেখাই ভালো, আর এ ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের বিস্তারিত বিবরণ না দিলেও সমস্যা নেই। বৈবাহিক অবস্থা, জাতীয়তা, ধর্ম, ওজন, উচ্চতা এসব তথ্যের খুব বেশি প্রয়োজন নয়।
রেফারেন্স হিসেবে যারা নতুন তাদের অবশ্যই তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোন শিক্ষককেই নির্বাচন করা উচিত। আরেকজন হতে পারেন যে, প্রতিষ্ঠানে আবেদন করছেন সেখানকার সুপরিচিত কেউ। রক্তের সম্পর্কের কাউকে এখানে উল্লেখ না করাই উচিত। তবে রেফারেন্স যাদের দেয়া হবে তাদের জানিয়ে রাখতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় তাদের কাছে সিভির একটি কপি থাকলে।
চাকরিদাতারা যা বলে থাকেন
চাকরি প্রার্থীদের অধিকাংশই তাদের কভার লেটার এবং সিভি নিয়ে খুব বেশি সিরিয়াস থাকেন না। এমনকি বানান ভুলও থাকে অনেক। একজন কোম্পানি মালিক কিন্তু প্রাথমিকভাবে চাকরি প্রার্থীকে চোখে না দেখার কারণে তার কভার লেটার এবং সিভিকেই প্রার্থীর মুখাবয়ব মনে করেন। সুতরাং প্রার্থী কভার লেটার সংক্ষেপে নিজ যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতাকে ফোকাস করতে পারেন।
অনেকে সিভিতে ছবির বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে চান না। অনলাইনে সিভি ড্রপ করলে ভালো এবং ফ্রেশ এডিটেড ছবি দেয়া উচিত। আর সরাসরি চাকরি দাতা প্রতিষ্ঠানে সিভি জমা দিলে এক কপির বদলে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি দেয়া উচিত। ছবির পেছনে অবশ্যই প্রার্থীর নাম লেখা থাকতে হবে। এ বিষয়টিও অনেকে ভুলে যান। আর ছবিটা যেন নরমাল কম্পিউটারের দোকান থেকে করা না হয়। স্টুডিও থেকে করাই উচিত। ফটোপেপারটাও ভালো মানের হতে হবে।
স তামান্না তানভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন