মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ বুধবার বলেছেন, ইসলামভীতি মোকাবেলা এবং মুসলিম বিশ্বের চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবিলার পথ সন্ধানের উদ্দেশ্যে একটি ইসলামি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে যাতে ইরান, তুরস্ক এবং কাতারের নেতারা যোগ দিয়েছেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান কুয়ালালামপুর শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গতকাল মালয়েশিয়া পৌঁছেছেন। সম্মেলনে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি এবং ইসলামী পন্ডিতরাও থাকবেন।
মাহাথির মোহাম্মদ বলেছেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই সম্মেলনটি মুসলিম সহযোগিতা জোরদার করবে এবং ‘সারা বিশ্বে মুসলমানদের জীবন উন্নতির জন্য কিছু করার জন্য’ একটি মঞ্চ হবে।
“আমরা অনুভব করি যে, আমাদের ইসলামভীতি কাটিয়ে উঠতে হবে। ইসলামের শত্রæদের বিরুদ্ধে নিজেকে রক্ষা করার জন্য অমুসলিমদের উপর আমাদের নির্ভরতা, আমাদের ত্রæটিগুলি সমাধান করার জন্য আমাদের একটি উপায় খুঁজে বের করতে হবে,” -তিনি বিষদ বিবরণ না দিয়ে এক ডিনার বক্তব্যে বলেন।
তিন প্রতিদ্ব›দ্বী দেশটির নেতাদের অংশগ্রহণের ব্যাপারে সউদী আরব আপত্তি দিয়েছে। মাহাথির মোহাম্মদ বলছিলেন যে, সউদী আরব যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে, ৫৭ জাতির ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার অধীনে এ জাতীয় সভা হওয়া উচিত। তবে মাহাথির মোহাম্মদ বলেন যে, সম্মেলনটি ওআইসির প্রতিদ্ব›দ্বী নয়, মুসলিম বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য একটি উপায় হতে হবে।
পাকিস্তান নেতা ইমরান খানের প্রাথমিকভাবে যোগ দেয়ার কথা থাকলেও তার সহযোগী সউদী আরবকে আশ্বাস দেওয়ার কারণে এ সপ্তাহেই সরে এসেছেন।
সম্মেলনের ওয়েবসাইটে এক বার্তায় মাহাথির বলেছেন, মুসলিম বিশ্ব অবিরাম যুদ্ধে জর্জরিত হয়েছে এবং দীর্ঘকাল ধরেই ‘সুশাসন, স্থানীয় দুর্নীতি ও সন্ত্রাসবাদের এক প্রজনন স্থানের সাথে নাম জড়িয়েছে।’ তিনি বলেন যে, মুসলিম দুর্বলতা এবং বিভেদ ইসলাম বিরোধী প্রচারে উৎসাহ যোগিয়েছে।
“ইসলামী সভ্যতা কতটা দুর্দান্ত, সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী ছিল তা আমরা সর্বদা প্রতিফলিত করেছি। এটি ইতিহাসের একটি অধ্যায় এবং আমরা এর প্রত্যাবর্তনে আগ্রহী। আমরা এটি সম্পর্কে কিছু না করা পর্যন্ত এটি আকাক্সিক্ষত থাকবে।’-বলেন তিনি।
নেতৃবৃন্দ আজ সম্মেলনে বক্তব্য রাখবেন। আয়োজকরা নির্দিষ্ট সমস্যাগুলি চিহ্নিত করেননি যার সমাধানের চেষ্টা করবেন। তবে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে যে, আলোচনা প্যানেল জাতীয় উন্নয়ন, সুশাসন এবং সুরক্ষার মতো সাধারণ বিষয়গুলিকে কেন্দ্রে রাখবেন। প্রেসিডেন্ট রুহানি আগামী শুক্রবার দু’দিনের জাপান সফরে রওয়ানা হয়ে যাবেন। সূত্র : এপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন