কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার বাসচালক খোকা মিয়া হয়রানি করে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।
জানা গেছে, বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) থেকে ভাড়া করা ৯নং বাসে এ ঘটনা ঘটে। ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থতার কারণে ১২টায় ক্যাম্পাস থেকে শহরে যাওয়ার বাসে উঠে বসে ছিলেন। বাসে উঠে বসার পরে ঘুম চলে আসে শিক্ষার্থীর। ঘুম ভাঙার পর শিক্ষার্থী দেখেন বাস নির্দিষ্ট সময়ের আগে বেলতলী বিশ্বরোড এলাকায় চলে আসে। বাস চালক ও তার সহকারী ছাড়া বাসে কেউ ছিলো না।
কিন্তু বাসটি ক্যাম্পাসে না এসে গ্যাস নিয়ে শহরে যাবে বলে ফিলিং স্টেশনে যায়। ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, বাসচালক আমার কাছে ফোন নাম্বার চায় এবং নানা ধরনের অশ্লীল কথা বলেন।
এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তেজিত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের মূলফটক তালা দিয়ে অবস্থান নেয়। এসময় বাসে শিক্ষার্থীকে হয়রানির প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরমুখী বাস বন্ধ করে রাখেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর লিখিত দেয় ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা জানান, এই ধরণের ঘটনার শিকার যাতে আর কাউকেই হতে না হয় তার জন্য দ্রচত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে, অভিযুক্ত বাস চালক খোকা মিয়ার নিয়োগাদেশ বাতিল করেছে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ। বিআরটিসি কুমিল্লা বাস ডিপোর ম্যানেজার (অপারেশন) স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
অভিযোগের বিষয়ে বাসচালক খোকা মিয়া বলেন, আমাদের বিআরটিসি বাস কক্সবাজার যায়। কখনও যদি (উনি) যায়, আমরা চালক হিসেবে যাই একথা বলেছি। কিন্তু তাকে যেতে বলিনি।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি জানার সাথে সাথেই আমরা দোষীকে আইনের আওতায় আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আশা করি তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা হবে।
প্রক্টর ড. কাজী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ভোক্তভোগী শিক্ষার্থী আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে। পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন