মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনী সামগ্রী দিয়ে গ্রাহকের রুপচর্চা করার অপরাধে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর ‘রোজ বিউটি পার্লার’কে অর্থদন্ড ও তিন পার্লার কর্মীকে কারাদ- দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় পার্লার থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও অনুমোদনহীন প্রসাধনী জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান। দ-প্রাপ্তরা হলো, পার্লারের পরিচালক নাসিমা আক্তার (৪০), সার্ভিস কর্মী শিমু আক্তার (২২) ও সূচি (২০)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক প্রবাসীর স্ত্রী গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার ‘রোজ বিউটি পার্লার’এ সাজতে যায়। পরে পার্লার কর্মীরা মেয়াদোত্তীর্ণ প্রসাধনী দিয়ে তার রুপ চর্চা করে। এসময় ওই গৃহবধূ তার মুখ প্রচন্ডভাবে জ্বলছে বলে তাদের জানায়। তখন পার্লার কর্মীরা জানায় এটা তেমন কিছু না একটু পর ঠিক হয়ে যাবে। পরে ওই গৃহবধূ মেকআপ তুলে ফেলার দেখে তার মুখ আগুনো পোড়ার মত ঝলসে গেছে দেখে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পার্লারে অভিযান চালিয়ে ৩০হাজার টাকা অর্থদ- ও তিনজনকে এক মাস করে কারাদ- প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রোকনুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বিউটি পার্লারের প্রসাধনী সম্পর্কে ক্রেতা ও গ্রাহকদের সচেতন থাকতে হবে। উল্লেখ্য, নোয়াখালী জেরা শহরসহ পৌর এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মত অসংখ্য বিউটি পার্লার গড়ে ওঠেছে। এসব পার্লারের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহারের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন