ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের কাদিরদী এলাকায় কুমার নদের পাড়ে সরকারি জায়গা থেকে গাছ কেটে নিচ্ছে এলাকার প্রভাশালী মহল। সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পাড় থেকে ছোট বড় অনেকগুলো রেইনট্রি গাছ কাটা হচ্ছে। কয়েকটি গাছ কেটে গুড়ি করা হয়েছে।
গাছ ক্রেতা ভাটদি গ্রামের মো. মুরাদ খান বলেন, মোট ১৪টি গাছ ৬৪ হাজার টাকায় কেনা হয়েছে। কাদিরদি এলাকার কয়েকজন নেতা তার নিকট গাছ বিক্রি করেছেন। তিনি তখন উপজেলা যুবলীগের (একাংশ) যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম শফিউল্লাহ শাফি, উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোটের সহসভাপতি সুভাস সাহা, সাত্তার বিশ্বাস, সাতৈর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফারুক মেম্বারের নাম বলেন। মুরাদ খান তাৎক্ষণিক তার ফোন দিয়ে ফারুক মেম্বারকে ধরিয়ে দিলে ফারুক মেম্বার উপজেলা যুবলীগের (একাংশ) যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম শফিউল্লাহ শাফির সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
উপজেলা যুবলীগের (একাংশ) যুগ্ম আহবায়ক এসএম শফিউল্লাহ শাফি জানান, এলাকার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের (মসজিদ-মন্দির) জন্য সুভাস সাহাসহ কয়েকজন মিলে গাছ বিক্রি করেছে। এ গাছ বিক্রির টাকা মসজিদ মন্দিরে ভাগাভাগি করে দেয়া হবে।
উপজেলা আ.লীগের সদস্য ও ব্যবসায়ী সুভাস সাহা সাংবাদিকদের বলেন, ওই জায়গার গাছ তিনি লাগিয়েছিলেন। কুমার নদ খনন কাজ চলছে, সে জন্য নদী পাড়ের অনেক গাছই কাটা পড়বে। এসএম শফিউল্লাহ শাফি, সাত্তার বিশ্বাস গাছ কাটার বিষয়টি তাকে জানিয়েছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে টাকা দেয়া হবে বলে তাদের কাছ থেকে জেনেছেন। তবে তিনি গাছ কাটার সাথে কোন অবস্থায়ই জড়িত নন। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বোয়ালমারী অঞ্চলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শশাঙ্ক ধর বলেন, গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। কুমার নদের পাড়ের সব জমি ওয়াপদার নয়। তারপরও লোক পাঠিয়ে খোঁজ নিবেন বলে জানান তিনি।
বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন