মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা : মাদারীপুরে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ মস্তফাপুর ইউপি মেম্বার শওকত মাতুব্বর (৪৫) ২ মাস ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় শনিবার রাত ২টায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। শওকত মাতুব্বরের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সদর থানার পক্ষ থেকে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা শুনেছি সে মারা গেছে। তাকে ফরিদপুরে কারাগারের আন্ডারে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছিল। তদন্ত করে জানা যাবে সে কিভাবে মারা গেছে।’
উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ মস্তফাপুর ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কুদ্দুস মল্লিক বিজয় লাভ করে এবং আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী প্রার্থী সোহরাব খান পরাজিত হন। নির্বাচনের পর থেকেই দুই গ্রæপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ দেখা দেয়। এরই জের ধরে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ ১২ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে শওকত মাতুব্বর (৪৫), আলী আজগর মাতুব্বর (২৭), জুয়েল মল্লিক (২৮) এ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় আহত হন আরো ৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তাদের আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকার হাসাপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। ৭ দিন চিকিৎসা দেয়ার পর জুয়েল মল্লিক ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।
একজনকে পিটিয়ে হত্যা
মাদারীপুরে জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সাদ্দাম বেপারী (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার রাত ১১টার দিকে সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম রাস্তি গ্রামের সাদ্দাম বেপারীর সাথে তার চাচা খলিল বেপারীর জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে শনিবার রাতে স্থানীয়রা সালিস-বৈঠকে বসেন। এ সময় উভয় পক্ষের সাথে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনা সৃষ্টি। এরপর চাচা খলিল বেপারী ও তার ছেলে টিপু সাদ্দামকে পিটিয়ে আহত করে। পরে গুরুতর অবস্থায় সাদ্দামকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাচা খলিল বেপারীকে আটক করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন