প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে কালো পতাকা মিছিলে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকিকে গলাচেপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করে পুলিশ। মুহূর্তেই এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ছবিটি শেয়ার করে পুলিশের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করছেন।
ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, কয়েকজন পুলিশ সাকিকে চারপাশ থেকে আটকে রাখে। একজন সাকির গলা চেপে ধরছে। ফলে তার ধম আটকে যাওয়ার উপক্রম হয়। মুখ বিভৎস আকার ধারণ করে।
সোমবারের ঘটনায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। এসময় তিন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফেইসবুকে মোহাম্মদ শামীম মাদবর লিখেছেন, ‘‘এটা সাকিকে গলা চেপে ধরা নয় গণতন্ত্রকে গলা চেপে ধরা।’’
রিয়াজ হোসাইন ক্ষোভের সাথে লিখেছেন, ‘‘জুনায়েদ সাকি ট্যাক্স না দেয়ায় ওই পুলিশ সদস্য বাসায় বাচ্চার জন্য দুধ কিনতে পারেনি তাই ক্ষেপেছে!’’
‘‘এমন গণতন্ত্র বিশ্বে নেই। তীব্র নিন্দা জানাই পুলিশ বেশি করছে’’ মন্তব্য জীবন আহমেদ সরকার।
বিলাল হোসাইন লিখেছেন, ‘‘জুলুমবাজ ও মিত্রদের আল্লাহ অবশ্যই ধ্বংস করবেন। অত্যাচারী কোনো ব্যক্তিকেই আল্লাহ ক্ষমতায় রাখেনি। পার্থক্য শুধু সময়ের।’’
আনিরুদদা সরকার লিখেছেন, ‘‘তারা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করেও মিছিল করতেছিলো, উদ্দেশ্য ছিলো গণভবন ঘেরাও করা। পুলিশ যথাযথ ভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেছে।’’
‘‘জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন পাও। অথচ তোমার লাঠির আঘাতে জনগণের অধিকার রক্তাক্ত হয়েছে শুধুমাত্র ভোট ডাকাতদের ক্ষমতায় রাখার জন্য’’ লিখেছেন কাজী হাফিজ।
সাইদুর রহমান তালুকদার লিখেছেন, ‘‘সাবাশ সাহসী বাম নেতাদের, বিএনপি তো ভয়ে নামতেই পারেননি।’’
মোরশেদ শাহেদ লিখেছেন, ‘‘বামরা এতো বছর মোটামুটি নিরাপদ থেকে ভবিষ্যতেও নিরাপদে রাজনীতি করে যাবে বলে ভেবেছিলো। সাংঘাতিক ভুল, ফ্যাসিবাদে নো টলারেন্স।’’
‘‘বামজোট কয়েকশ লোক নিয়ে যেই সাহস করতে পারে বিএনপি কয়েক লক্ষ লোক নিয়েও সেই সাহস করতে পারে না। বিএনপি নেতাদের মুখে বড় বড় বুলি আর হুমকি শুনলে এদের কর্মীরা যে এখনও দলের সাথে আছে এইটাও অবাক করার মত ব্যাপার’’ লিখেছেন শরিফুল ইসলাম।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন