বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আইটি এন্ড টেলিকম

সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার বানাল চীন

প্রকাশের সময় : ২৮ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

শওকত আলম পলাশ

সবচেয়ে দ্রুত গতির সুপার কম্পিউটার তৈরির তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে চীন। এর মাধ্যমে এ ধরনের কম্পিউটার তৈরিতে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রকে টপকে গেল দেশটি। টপ ৫০০ সুপার কম্পিউটারের র‌্যাংকিংয়ে এ তথ্য উঠে এসেছে। তালিকায় চীনের সুপার কম্পিউটার উৎপাদন ১৬৭টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬৫টি। মাত্র ১০ বছর আগেও এ তালিকায় চীনের অস্তিত্ব ছিল টিকে থাকার মতো। সে সময় সেরা ৩০ এর মধ্যে দেশটির তৈরি কোনো কম্পিউটার ছিল না। অবশ্য নতুন তালিকায় সেরা দশের মধ্যে চারটি সুপার কম্পিউটারই যুক্তরাষ্ট্রের। এই তালিকায় চীনের দুইটি কম্পিউটার রয়েছে। বাকি চারটি জাপান, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি এবং সৌদি আরবের। বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দ্রুত গতির সুপার কম্পিউটারের তালিকায় শীর্ষে থাকা কম্পিউটারটি বর্তমানে সবচেয়ে পরিচিত সুপার কম্পিউটার তিয়ানহে-১এ এর চেয়ে তিনগুণ দ্রুত গতি সম্পন্ন। চীনের পূর্বাঞ্চলের উজি শহরের জাতীয় সুপার কম্পিউটিং সেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে সেটি। প্রতি সেকেন্ডে ৯৩ হাজার ট্রিলিয়ন হিসাব করতে সক্ষম এই সুপার কম্পিউটার। চীনের প্রযুক্তিবিদদের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিবর্তে প্রথমবারের মতো চীনের প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কম্পিউটার তৈরি করা হয়েছে। লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমের ভিত্তিতে এটি তৈরি করা হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, এই সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে দ্রুত উৎপাদন, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ এবং কম সময়ে বিশাল তথ্য বিশ্লেষণ করা সম্ভব। ১ কোটির বেশি প্রসেসিং কোর এবং ৪০ হাজার ৯৬০টি নোড রয়েছে এতে।

সুপার কম্পিউটারের কাজ কি
যানবাহণ প্রক্রিয়াকরণে সুপার কম্পিউটারের ব্যবহার করা হয়। সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে ভালোভাবে গাড়ি, বিমান ও নৌযানসহ বিভিন্ন যানবাহণের কাঠামোগত সংস্কার করতে সক্ষম হবে। বিভিন্ন যানবাহণের জ্বালানি ব্যয়, দূর্ঘটনা বা মুখোমুখী ধাক্কা মোকাবেলার সক্ষমতা পরীক্ষায় এবং নয়েজ বা শব্দদূষণ কমানো এবং যানবাহনে চলাচলে বসার আরাম আরও অধিক উপভোগ করতে সক্ষম হবে। সুপার কম্পিউটারের সাহায্যে জলবায়ু পরিবর্তন পুর্বাভাস করা যায় এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে জড়িত ক্ষয়ক্ষতির পরিমান হ্রাস ও প্রতিরোধ করা যাবে। সুপার কম্পউটারের সাহায্যে এবহড়সরপং’র ডেটার নিবিড়তা থেকে সেলুলার নেটওয়ার্ক পর্যন্ত গবেষণা করতে সক্ষম হবে। যার ফলে বিভিন্ন রোগীদের চিকিত্সায় উন্নত সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। ভূমিকম্পের পুর্বাভাস তৈরী করার ক্ষেত্রে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা হবে। সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে ভূমিকম্প পুর্বাভাসের নতুন উপায় বের করা সম্ভব হবে। যাতে ভূমিকম্পের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমানো যেতে পারে। আর্থ সায়েন্সেসে ব্যাপক ডেটা মোকাবিলা এবং সিমুলেশন করতে হয়। সুপার কম্পিউটারের তেল জরিপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশাল আর্থিক তাত্পর্য রয়েছে। সুপার কম্পিউটারের সিমুলেশন জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের ভিত্তি। সময় ও প্রক্রিয়া সিমুলেশন করলে জ্যোতিঃপদার্থের পরিবর্তন সংক্রান্ত তাত্ত্বিক পরীক্ষা করা সক্ষম হবে। যে বিষয় সামাজিক স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার ওপর প্রভাব পড়বে, সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে সে প্রভাবগুলো সিমুলেশন করা যায়। যাতে ব্যাপক দূষণ ও দুর্যোগসহ বিভিন্ন দুর্ঘটনা মোকাবিলা করা যায়। সুপার কম্পিউটারের মাধ্যমে বস্তু ও জ্বালানির খাতের হিসাব সিমুলেশন করা যায়। এতে আরও উচ্চ আর্থিক বস্তু অনুসন্ধান করতে সক্ষম হবে। অর্থনীতি এবং সামাজিক গতিবিদ্যায় বিভিন্ন গবেষণার জন্য সুপার কম্পিউটার খুব দারকারি। যেমন অধিক জনসংখ্যার আচরণ নিয়ে সিমুলেশন করতে সুপার কম্পিউটার ব্যবহার করা যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন