রাজশাহী ব্যুরো : ভর্তির লাইনযুদ্ধে গতকালও সরকারি সিটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা ছিল বিপর্যস্ত। বরাবর রূপালী ব্যাংকের কলেজ চত্বরে ভর্তি কার্যক্রম করা হলেও এবার কলেজের অদূরে রূপালী ব্যাংকের কাজী নজরুল ইসলাম সড়ক শাখায় ভর্তি শুরু হয়। দোতলার উপরে অবস্থিত সরু সিঁড়ি আর স্বল্প পরিসরে ব্যাংক থাকায় বিঘœ ঘটে ভর্তি কার্যক্রমে। সবাই আগেভাগে ভর্তি হতে চায়। ব্যাংক খোলার আগ থেকে লাইন দেয়া শুরু। বাড়তে বাড়তে চলে যায় মনিচত্বর পর্যন্ত। শিক্ষার্থী আর তাদের অভিভাবকদের ভিড় ছিল সামনের সড়ক জুড়েই। সরু সিঁড়িতে যেখানে একটা লাইন দেয়া যায় না সেখানে একাধিক লাইন। ছেলে-মেয়েদের একসাথে গাদাগাদিতে চিড়ে চ্যাপটা অবস্থা। অনেক মেয়ে আর্ত-চিৎকার করতে থাকে। সবাই ঘামে ভিজে একাকার হয়ে যায়। হাতের নথিপত্র ধরে রাখা দায় ছিল। বাইরে রাস্তায় যারা লাইনে ছিল তারাও কখনো কড়া রোদে পুড়েছে। আবার হঠাৎ নেমে আসা বৃষ্টিতে ভিজেছে। পুঠিয়া বালিকা বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক এসেছিলেন তার ছেলেকে ভর্তি করার জন্য। ব্যাংকের সিঁড়িতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে ধরাধরি করে নিয়ে উপরে দৈনিক ইনকিলাবের অফিসে এনে বসানো হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে ফের যান লাইনে। ভিড় সামলাতে পুলিশ এলেও তাতে খুব একটা কাজ হয়নি। ভবনের নিচের লাইব্রেরিগুলোর ব্যবসা লাটে ওঠে। তারাও ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, এবার কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে ভর্তি কার্যক্রম করতে দেয়নি। কলেজের একটি সূত্র জানান, ভর্তি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো অন্য রকম ঝামেলা এড়ানোর জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ এবার ক্যাম্পাসের বাইরে ভর্তি করাচ্ছে। অবস্থা দেখতে এসেছিলেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। জানালেন আজ থেকে কলেজেই ভর্তি নেয়া হবে।
অভিভাবকরা বলেন, কলেজ চত্বরে হলে অনেক বড় পরিসর ছিল। এখানে সেখানে ছায়ায় আশ্রয় নেয়া যেত। রোদ-বৃষ্টি আর এমন ধাক্কাধাক্কির শিকার হতে হতো না। অনেক মেয়ে এ অবস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত তারা ভর্তি হতে পারবে কিনা এমন শঙ্কায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন