ভাঙ্গাচোরা খানাখন্দে বেহাল রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়ক। নানা কাজের খোঁড়াখুঁড়িতে অনেক সড়ক দীর্ঘদিন যাবত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। উন্নয়ন কাজের নামে সারাবছর ধরে চলতে থাকা এ খোঁড়াখুঁড়িতে নাজেহাল নগরবাসী। রাস্তা খুঁড়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে রাখায় রোদ থাকলে ধুলায় বাতাস দূষিত হয় আর সামান্য বৃষ্টি হলেই কাদাপানিতে রাস্তা একাকার হয়ে যায়। পানিবদ্ধতায় কোথাও কোথাও রাস্তা তলিয়ে যায়। তাতে খানাখন্দে যানবাহন পড়ে দুর্ঘটনা ঘটে। যানজট, ধুলিদূষণে নগরবাসী এমনিতেই অতিষ্ঠ। এর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি এ যেন ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’। গতকাল রাজধানীতে হঠাৎ সামন্য বৃষ্টিতেই অনেক স্থানে কাঁদাপানিতে রাস্তার অবস্থা বেহাল হয়ে যায়। নগরবাসীকে পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। সমন্বয়হীন অপরিকল্পিত এসব উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে নগরবাসীর ভোগান্তি এখন চরমে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা পরিপত্র অনুসরণ করা হচ্ছে না এসব কাজে। দুঃসহ এ ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমলে নিয়ে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি নগরবাসীর।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীজুড়ে চলছে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি, সড়কের মাঝ বরাবর দখল করে চলছে উন্নয়নকাজ। দুই সিটি কর্পোরেশনসহ ঢাকা ওয়াসা, বিটিসিএল, তিতাস, ডিপিডিসি, ডেসা, ডেসকো, রাজউকসহ ২৬টি সেবাদানকারী সংস্থার সংস্কার আর উন্নয়নকাজ চলছে পুরোদমে। কোথাও মেট্রোরেল, কোথাও বিদ্যুৎ লাইন, স্যুয়ারেজ লাইন আবার কোথাও ওয়াসার পানির লাইন সংস্কারে চলছে এসব খোঁড়াখুঁড়ি। এ ছাড়া চলছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ। এতসব বিশাল বিশাল কর্মযজ্ঞে সমন্বয়হীনতা ও অপরিকল্পিতভাবে করার কারণে চরম দুর্ভোগ সইতে হচ্ছে নগরবাসীকে।
সমন্বয়হীনভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলা রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজের সমালোচনা করেন অনেক নগরপরিকল্পনাবিদ। তবে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ছাড়া অন্য সংস্থগুলোর খোঁড়াখুঁড়ির কাজগুলো আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ হবে বলে সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
গত বর্ষায় রাজধানীর অনেক সড়ক ভেঙ্গে বেহাল দশা হয়। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোশেনের শাহজাহানপুর, বাসাবো, মাদারটেক, নন্দিপাড়া, বনশ্রী, মুগদাপাড়া, মায়া কানন ও মানিকনগরের অধিকাংশ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ড্রেনেজ ও সুয়ারেজ লাইনের উন্নয়ন কাজ চলছে। এতে এ সমস্ত এলাকার মূল সড়কসহ পাড়া মহল্লার রাস্তাও খোঁড়াখুঁড়িতে চলাচলের অযোগ্য। ভাঙ্গাচোরা এসব সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি হলে কাঁদা-মাটি মিলে একাকার। রোদ উঠলে বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা কাশিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
মাদারটেক টেম্পোস্ট্যান্ড, দক্ষিণ ও পশ্চিম মাদারটেক, পশ্চিম বাসাবো, পদ্মকানন, এলাহীবাগে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি করছে ঢাকা ওয়াসা। এর মধ্যে দক্ষিণ মাদারটেক থেকে টেম্পোস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের অবস্থা বেহাল। যে কারণে এ সড়কে লেগে থাকে তীব্র যানজট। বৃষ্টিতে ওই এলাকার সড়গুলো এখন ব্যবহার অযোগ্য হয়ে গেছে। এলাকাবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। সড়কে কাঁদা পানিতে একাকার অবস্থা। অফিস আদালতগামী ও শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন এ সড়কে ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাজধানীর খিলগাঁও, শাহজাহানপুর, বাসাবো, গোড়ানসহ এর আশেপাশের রাস্তাগুলোর অবস্থা একেবারেই বেহাল। এই এলাকার সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন তো দুরের কথা পায়ে হেঁটে চলাচল করাও সম্ভব হচ্ছে না। সড়ক খুঁড়ে বিশাল বিশাল গর্ত করে রাখা হয়েছে। শাহজাহানপুর ভুমি অফিসের সামনের সড়কে কাজ চলছে গত প্রায় ছয়মাস ধরে। এ এলাকায় বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকার কারণে প্রতিদিন অবর্নণীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদেরকে। শাহজাহানপুরের ভেতর দিয়ে যাওয়া সড়কটির ভুমি অফিস থেকে খিলগাঁও ফ্লাইওভার পর্যন্ত অংশে রাস্তা খুঁড়ে উন্নয়ন কাজ শেষ হয়েছে গত ২/৩ মাস আগে। এখনো এই সড়কটির কার্পেটিংয়ের কাজ শেষ হয়নি। এছাড়াও এই এলাকার প্রায় সড়কেই চলছে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ। যে কারণে সড়কগুলো এখন চলাচলের অনুপযোগী। সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়ে রিকশা, ম্যাক্সি, হিউম্যান হলার, প্রাইভেটকার, সিএনজি অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন। খিলগাঁও পুলিশ ফাঁড়ি অংশে সড়কের দুই পাশেই বেহাল অবস্থা। বড় বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা। ফলে সেখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর অভিজাত এলাকা উত্তরায়ও বিভিন্ন সেক্টরের রাস্তা ভাঙ্গাচোরা বেহাল অবস্থা। গত বর্ষায় যে সব রাস্তার কার্পেটিং ভেঙ্গেছিল সেব রাস্তা মেরামত হয়নি। এসব রাস্তার এখন বেহাল অবস্থা।
উন্নয়ন কর্মকান্ডের কারণে বেহাল সড়ক নিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, উন্নয়ন কর্মকান্ড চললে তাতে সাময়িক ভোগান্তি হতেই পারে। এটাই স্বাভাবিক। নগরবাসী এটা মেনেও নিয়েছে। কিন্তু এটা যখন বছরের পর বছর ধরে চলে তখনই তা সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। এ ছাড়া ওয়াসা, ডেসা ও তিতাসের উন্নয়ন কাজের সাথে কোনো সমন্বয় না থাকায় সারাবছর ধরেই চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। এ কারণে যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। কোন কোন সড়কে ৩০ মিনিটের রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ২ ঘণ্টারও বেশি। মিরপুরেও চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যানজট লেগেই আছে। এভাবে রাজধানী জুড়েই এক সংস্থার কাজ শেষ হয় তো আরেক সংস্থা শুরু করে। এতে শুধু জনভোগান্তিই হয় না শ্রম ঘন্টা সহ রাষ্ট্রীয় অর্থেরও অপচয় হয়।
ঢাকা-উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) সূত্রে জানা যায়, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ শেষ করতে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ঠিকাদারই ১৫ দিনের বেশি একটানা কোনো রাস্তা খোঁড়ার কাজ করতে পারবেন না। প্রতিটি রাস্তার কাজ গুরুত্ব বুঝে ও দীর্ঘদিন রাস্তা খুঁড়ে ফেলে রাখা বন্ধে ৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ মিটার রাস্তা খোঁড়ার অনুমতি দেবে। একই সঙ্গে এ রাস্তার কাজ শেষ করার পরই পরে নতুন করে রাস্তা খোঁড়ার জন্য অনুমতি দেবে সংস্থাটি। ১০ দিন থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দিন একটানা কাজ করতে পারবে, এমন পরিমাণ রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির অনুমতি দেবে ডিএনসিসি।
যদিও ডিএনসিসি এলাকার অন্তর্ভুক্ত নতুন ৪৮নং ওয়ার্ডের বরুয়া থেকে স্বদেশ পর্যন্ত সড়কের পাশ একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ডেসকোর কাজ করার কথা বলে দীর্ঘদিন খুঁড়ে ফেলে রেখেছে। সিটি কর্পোরেশনের নিয়মানুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি কাজ শেষ করার কথা থাকলেও তা শেষ না করায় খিলক্ষেত থেকে ডুমনী, ইছাপুরা, স্বদেশসহ পূর্বাঞ্চলে যাতায়াতকারী যাত্রীদের ধুলা দূষণসহ চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আবার এক পসলা বৃষ্টি হলেই হয়ে যায় কর্দমাক্ত। দিনের পর দিন এভাবে ভোগান্তি চলতে থাকলেও এসব দেখার যেন কেউ নেই।
বরুয়ার বাসিন্দা মাহমুদ তারেক বলেন, উন্নয়ন দরকার। তবে অব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিন মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে রাখা ঠিক নয়। নগরজুড়ে এই খোঁড়াখুঁড়ির ফলে রাস্তায় চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ডিপিডিসি রাস্তার অনেকটা কেটে বৈদ্যুতিক লাইন নিচ্ছে। এমনিতেই রাস্তাটির ভগ্নদশা তার ওপর আবার চরম ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চলাচল করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তায় কর্দমাক্ত হয়ে চলাচলের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়ে।
খোঁড়াখুঁড়ি প্রসঙ্গে ডিএনসিসি সূত্রে জানা গেছে, ১০২৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘ঢাকা-উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নসহ নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে ২০৬ কিলোমিটার রাস্তা, ২৮৮ কিলোমিটার নর্দমা ও ১৪৪ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে এবং আরো ২০ দশমিক ৪২ কিলোমিটার রাস্তা, ৩০ কিলোমিটার নর্দমা ও ৬৩ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার ফুটপাথ নির্মাণ ও উন্নয়নের কাজ চলমান আছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে যানবাহন চলাচল সহজ এবং পানিবদ্ধতা হ্রাস পাবে। এ ছাড়া ৬৯৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ডিএনসিসির বিভিন্ন অঞ্চলের ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, নর্দমা, ফুটপাথ নির্মাণ ও উন্নয়নসহ সড়ক নিরাপত্তা প্রকল্প চলমান আছে, যা ২০২১ সালের জুনে শেষ হবে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে সড়ক, নর্দমা ও ফুটপাথ নির্মাণসহ পানিবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ লাইন নির্মাণ করা হবে। যার ফলে প্রকল্প এলাকায় পথচারীদের চলাচল সুগমসহ যানজট হ্রাস পাবে।
সরেজমিন দেখা যায়, রাজধানীর মধ্য বাড্ডার সব রাস্তায় প্রায় তিনমাস ধরে চলছে ড্রেনেজ সিস্টেম উন্নতির কাজ। প্রথমে এসব রাস্তায় বড় ড্রেন নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর এখন চলছে ঢালাইয়ের কাজ, এরপর করা হবে সড়ক উন্নয়ের কাজ।
এখানকার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাজের সমন্বয়ক মোজাম্মেল হক বলেন, জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সিটি কর্পোরেশন থেকে এসব কাজ করা হচ্ছে। পানিবদ্ধতা নিরসনে আগে ছোট ড্রেন ছিল কিন্তু এখন যে কাজ চলছে সেটা বড় ড্রেন নির্মাণে, এরপর রাস্তা ঢালাই করা হবে। ভালোভাবে কাজ শেষ করতে একটু সময় বেশি লাগছে। এতে এলাকাবাসীর কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে ঠিকই কিন্তু বর্ষা মৌসুমে যখন পানিবদ্ধতা হবে না তখনই মানুষ এর সুফল ভোগ করবেন।
নগর বিশেষজ্ঞ স্থপতি ইকবাল হাবিব এ প্রসঙ্গে বলেন, বিক্ষিপ্তভাবে ঢাকার ছোট-বড় বিভিন্ন সড়কে সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয়হীন কর্মযজ্ঞে উন্নয়নের সুফল ভোগ করার চেয়ে বিড়ম্বনাই যেন বেশি হচ্ছে। রাজধানীর একেকটি রাস্তায় দীর্ঘদিন কেটে রাখায় যানজট ও ধুলাবালিতে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, একটি রাস্তা সুন্দর করে কার্পেটিং করে দেয়ার শর্তে অন্য সেবা সংস্থাগুলোকে রাস্তা কাটার অনুমতি দেয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, ওই সংস্থার কাজ শেষ হওয়ার পর তারা মেরামতটা ঠিকমতো করে না। সেখানে ইট-সুড়কি-বালু ফেলে যায়। ভালো রাস্তা কাটার পর যতই মেরামত করা হোক, আগের রূপে ফিরে আসে না। তখন ধীরে ধীরে ক্ষতের পরিধি বাড়তে থাকে। ভালো রাস্তাটি দ্রুতই নষ্ট হয়ে যায়।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান শরীফ উদ্দিন বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে সড়ক খননের অনুমোদন দেয় ওয়ানস্টপ সেল থেকে। তবে সেল থেকে এই দিকনির্দেশনাও দেওয়া হয়, খননের কারণে যেন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়।
জানা গেছে, সিটি কর্পোরেশন ছাড়াও আরো কয়েকটি সংস্থাও এই মুহূর্তে রাজধানীতে উন্নয়ন কাজ করছে। এর মধ্যে ওয়াসা অন্যতম। ওয়াসার পক্ষ থেকেও পানির পুরাতন লাইন পরিবর্তনের জন্য রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। সেখানেও জনগণের ভোগান্তি বেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন