না’গঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : চাঞ্চল্যকর সাত খুনের দুই মামলায় র্যাবের একজন হাবিলদার ও সৈনিকের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাত খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৩ আসামির উপস্থিতিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে দুইজনের সাক্ষ্য ও জেরা গ্রহণ করা হয়। আগামী ১১ জুলাই পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতের পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, সোমবার র্যাব-১১ এর হাবিলদার নাজিমউদ্দিন ও সৈনিক মিলন মিয়ার সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, হাবিলদার নাজিমউদ্দিন সাক্ষ্য প্রদানের সময়ে জানিয়েছেন তিনি ছিলেন টহল টিমের দায়িত্বে। তার ডিউটি ছিল ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে লিংক রোডে। সেখান থেকে ৭জনকে অপহরণের পর কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের সাদা রঙয়ের প্রাইভেটকারটি গাজীপুর-কাপাসিয়া সড়কের রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা এলাকাতে রেখে চলে আসেন।
অন্যদিকে সৈনিক মিলন মিয়া আদালতে জানান, তিনি আদমজী ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন। সেখানে তাদের সাদা পোশাকে একটি টিম প্রস্তুত ছিল। আদমজী ক্যাম্পের এক কোনায় ওইদিন ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারকৃত র্যাব সদস্য এমদাদুল ও পুর্ণেন্দু বালুকে দড়ি পাকাতে দেখেছেন তিনি।
জানা গেছে, সাত খুনের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী নিহত আইনজী চন্দন সরকারের মেয়ে জামাতা বিজয় কুমার পাল ও অপর বাদী নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। দুটি মামলাতেই অভিন্ন সাক্ষী হলো ১২৭ জন করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন