মীরসরাই উপজেলা সংবাদদাতা : মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এর বেহালদশা কাটেনি দীর্ঘ অনেকগুলো বছর ধরে। কিছু রাস্তা ইতিমধ্যে সংস্কার হলে ও অনেকগুলো সড়ক বাকী রয়েছে। আবার কোন কোন রাস্তা সংস্কারের বছর পেরুতেই আবার ভাঙাচোরা গর্তে ভরে গেছে।
আবার পর্যটন কেন্দ্র মহামায়া সড়কের পাউবো নির্মিত এপ্রোচ রোডের পুরো প্রায় ২ কিলোমিটারজুড়ে ইট খসে যাওয়া ও গর্তেভরা অংশে দর্শনার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না গত কয়েক বছর ধরেই। তার উপরে শেষ প্রান্তের কার্পেটিং অংশে ঝুঁকিপূর্ণ ধসে যাওয়া অংশ ও সংস্কার হয়নি বছরজুড়ে।
বিশেষ করে উপজেলার জোরারগঞ্জ- মুহুরী প্রজেক্ট সড়কটি দীর্ঘদিন পর সংস্কার কাজ শুরু হলে ও উক্ত উপকূলীয় সড়কের অপর অংশের দীর্ঘ প্রায় ১০ কিলোমিটার অংশে সর্বসাধারণের দুর্ভোগের অন্তনেই। হাঁটু পরিমাণ কাদায় বর্তমানে জনচলাচল ও যানবাহন চলাচল সবি মানবেতর দুর্ভোগের স্বীকার। বিশেষ করে মুহুরী প্রজেক্ট এর বাঁধের গোড়া থেকে ভাংগনি হয়ে টেকেরহাট, সাহেরখালী টু মঘাদিয়া গেইট পর্যন্ত অন্তঃত ১০ কিলোমিটারজুড়ে কয়েক ইউনিয়নের হাজার হাজার সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে উপকূলীয় মৎস প্রকল্পগুলোর খাদ্য ও মাছ পরিবহন, হাটবাজারের দোকানীদের মালামাল পরিবহন, সাধারণ লোকদের যাতায়াত সবই হাঁটু পরিমাণ কাদা দিয়েই করতে হচ্ছে। অথচ এই সড়কে একসময় পিচ ঢালাইছিল। প্রথমে কার্পেটিং, এরপর ইট সুরকিট অবশেষে কোথাও কোথার বিশাল গর্ত কোথাও মাটির ডিবি।
অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি উপজেলার উপকূলীয় বনাঞ্চলসহ সাহেবদীনগর, মাদবরহাট টেকেরহাটসহ দক্ষিণ উপকূলের উত্তরাঞ্চলে আসা যাওয়ার একমাত্র বিকল্পহীন সড়ক। এই গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে জীপ, সিএনজি, ট্রাক-বাস ও চলাচল করে বর্তমানে ১৫-২০ মিনিটের এই সড়কে এক ঘণ্টা লেগে যায় যেতে বা আসতে। এই বিষয়ে ইছাখালীর নবাগত চেয়ারম্যান নুরুল মোস্তফা বলেন আমাদের মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন রাস্তাগুলো খুব শীঘ্রই সংস্কার করে দিবেন বলেছেন। আশা করছি এলাকাবাসীকে আর বেশীদিন কষ্ট করতে হবে না। এতোদিন পূর্বের চেয়ারম্যানরা উন্নয়নে আন্তরিক ছিল না বলে ও তিনি দাবী করেন। আবার এই বিষয়ে মীরসরাই উপজেলা প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান বলেন অধিকাশ রাস্তাঘাট ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়েছে এই সড়কটি ও প্রক্রিয়াধীন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন