শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

চাহিদার ৭০ ভাগ ইন্টারনেট সেবা দিতে পারছে না খুলনা বিটিসিএল

প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : খুলনা মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্রে চাহিদা থাকা সত্তে¡ও বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) ইন্টারনেট সংযোগ দিতে পারছে না। চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত পরিমাণ পোর্ট না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সংযোগের জন্য আগাম আবেদন করলেও সেটির সংযোগ দিতে পারছে না খুলনা বিটিসিএল। এছাড়াও গ্রাহকদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে অফিস থেকে আবেদনের কাগজপত্র হারিয়ে যাচ্ছে। মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্রে চাহিদার প্রায় ৭০ শতাংশ নেট সুবিধা দিতে পারছে না সরকারি এ প্রতিষ্ঠান। মহানগরীর শিরোমনি, ফুলবাড়িগেট, দৌলতপুর, মুজগুন্নি, খালিশপুর এলাকায় চাহিদার পরিমাণ কিছুটা কম থাকলেও খুলনা সদরে ইন্টারনেট চাহিদা অনেক বেশী। অথচ যেখানে বেশি প্রয়োজন সেখানেই নেট সংযোগ দেয়ার জন্য পোর্ট একেবারেই কম। বিটিসিএলের সূত্র জানায়, মহানগরীর সদর ও সোনাডাঙ্গা এলাকায় নেট সংযোগ দেয়ার জন্য পোর্ট রয়েছে ২৮৮টি, এর সবগুলোই সংযোগ দেয়া শেষ। খালিশপুর, দৌলতপুর ও বাগেরহাটে নেট সংযোগ দেয়াসহ অন্যান্য কাজের জন্য বিটিসিএলএর আরেকটি অফিস রয়েছে।
অফিস সূত্রে জানায়, খালিশপুর ও দৌলতপুরে ৭২০টি এবং বাগেরহাট জেলায় ২১৬টি ইন্টারনেট পোর্ট রয়েছে। এদের মধ্যে বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে মাত্র ৬১৬টি। সদরের গ্রাহকদের চাপ সবচেয়ে বেশি।
কর্তৃপক্ষ দাবি করেন, চালুকৃত বিটিসিএল ফোনগুলোর মধ্যে অধিকাংশ গ্রাহকরা ইন্টারনেট সংযোগ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন। মহানগরীর অফিস পাড়ায় এর চাপ সবচেয়ে বেশি। সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা, প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের কারণে সদরে ইন্টারনেটের কাজ বেশি হয়। স¤প্রতি দু’শ অতিরিক্ত পোর্টের জন্য চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। বানরগাতির ইখতেকার উদ্দিন সেন্ট জানান, ইন্টারনেট সংযোগের জন্য গ্রাহকদের হয়রানির স্বীকার হতে হয়। আবেদনের পর ডিমান্ড নোট, এরপর ঢাকা থেকে পিন ও পাসওয়ার্ড আসা, লাইন সংযোগ দেয়ার সময় উৎকোচ সবমিলিয়ে ডিজিটাল যুগে ডিজিটাল হয়রানি।
বাগেরহাটের সাথী সাহা জানান, তার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার জন্য বিটিসিএল অফিসে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু ইন্টারনেট পোর্ট অতিরিক্ত নেই বলে তিনি সংযোগ পাচ্ছেন না। এদিকে বিপরীত চিত্র দৌলতপুর, খালিশপুর, শিরোমনির শিল্পাঞ্চল এলাকায়। গ্রাহকের চাপ কম থাকলেও ইন্টারনেট পোর্ট রয়েছে পর্যাপ্ত। তবে সংযোগ পেতে হয়রানির কথা স্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার একাধিক গ্রাহক। সদরের বিভাগীয় প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, গ্রাহক বেশি থাকলেও পর্যাপ্ত পোর্ট নেই। স¤প্রতি ২০০ পোর্টের জন্য চাহিদা হেড অফিসে জানানো হয়েছে। নতুন পোর্ট আসলে তবেই গ্রাহকের চাহিদা পূরণ করতে পারব। এক হাজারেরও বেশী আবেদন জমা রয়েছে। পোর্ট না থাকায় নতুন কোন সংযোগ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। খালিশপুরের বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ রিয়াজুল ইসলাম বলেন, শিল্পাঞ্চল এলাকার কারণে এখানে ইন্টারনেট সংযোগের আগ্রহী গ্রাহকের সংখ্যা কম ছিল। স¤প্রতি স্বল্প টাকায় বিটিসিএল কর্তৃপক্ষ কয়েকটি আকর্ষণীয় প্যাকেজ দিয়েছে। তাছাড়া নেটের গতি খুব বেশি। যার ফলে ইদানিংকালে চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। খালিশপুরে ২১২ এবং বাগেরহাট এলাকায় ১২০টি ইন্টারনেট সংযোগ চালু রয়েছে। প্রতিমাসে গড়ে ২০-২৫ জন গ্রাহক সংযোগের জন্য আবেদন করছে। অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে খুলনা জেলার ৯টি উপজেলায় ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন