নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পঞ্চবাটি এলাকার একটি পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান থেকে বিলুপ্ত প্রজাতির ২২ কেজি ওজনের একটি মেছো বিড়াল উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ‘বন্য প্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউয়ার টিম’ বিড়ালটিকে উদ্ধার করে।
বন্যপ্রাণি উদ্ধারকারী দলের প্রধান এমএম সাদ বলেন, মূলত খাবারে খোঁজেই বন বিড়ালটি লোকালয়ে ঢুকেছিল। এটি একটি বিলুপ্ত প্রজাতির বন বিড়াল। আহত বন বিড়ালটিকে সুস্থ কারার পর বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরবর্তীতে সংস্থার সিদ্ধান্তে প্রাণীটিকে অবমুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে বন্য প্রাণি অপরাধ দমন ইউনিটের পরিচালক এএসএম জহিরউদ্দিন আকন্দ বলেন, এটি একটি বিলুপ্ত প্রজাতির বিড়াল। এটিকে ফিশিং ক্যাট বা মেছো বিড়াল বলা হয়ে থাকে। এরা লোকালয়ের কাছাকাছি থাকে। কাঁকড়া, ব্যাঙ ইত্যাদি খায়। মূলত খাবারে খোঁজেই বন বিড়ালটি লোকালয়ে ঢুকেছিল। কিন্তু সেখানে একটি পুরাতন স্থাপনায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
উল্লেখ্য মেছো বিড়াল সাধারণত শহরের বাইরে যে কোন জায়গায়, নদীর ধারে, পাহাড়ি ছড়া, ঝোপঝাড় ও সুন্দরবনে বাস করে। এরা সাঁতারে পারদর্শী হওয়ায় এধরনের পরিবেশে সহজেই খাপ খাওয়াতে পারে। এদের গায়ে ছোপ ছোপ চিহ্ন থাকায় চিতাবাঘ বলেও ভুল করা হয়। এদের ইংরেজি নাম ফিশিং ক্যাট। মেছো বিড়াল মাঝারি আকারের বিড়ালগোত্রীয় একধরনের স্তন্যপায়ী বন্যপ্রাণী। ব্রাজিল, কোস্টারিকা, বাংলাদেশ, ভারত, বলিভিয়া, ক্যাম্বোডিয়া, লাউস, শ্রীলঙ্কায় এরা স্থানীয়ভাবে বাঘরোল নামে পরিচিত। এদের আবাসস্থল থাইল্যান্ড ও এল সালভাদোর। বিগত কয়েক দশকে এদের সংখ্যা মারাত্মকভাবে হ্রাস পেয়েছে। তাই আইইউসিএন ২০০৮ সালে মেছোবাঘকে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা)আইনের অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন