শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ধর্ষণ-নির্যাতনের মূল কারণ জবাবদিহি না থাকা

মানববন্ধনে আমীর খসরু

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:১৭ এএম

সরকারের জবাবদিহিতা না থাকায় বাংলাদেশে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য যেকোন দেশে একটি ধর্ষণ হলে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। সরকারকে প্রতি পদে পদে জবাবদিহি করতে হয়। কিন্তু আজ বাংলাদেশে সেই জবাবদিহিতা অনুপস্থিত। আর এটাই হচ্ছে ধর্ষণের মূল কারণ। গতকাল (মঙ্গলবার) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। শিশু থেকে শুরু করে যুবতি, বিবাহিত মহিলা এমনকি বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। এসকল ধর্ষণের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে- সরকারের জবাবদিহিতা না থাকা। কোনও ধরনের জবাবদিহিতা আজকে সরকারের নাই। সরকার প্রয়োজনও মনে করছে না।
তিনি বলেন, যখন আপনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবেন, তখনই জবাবদিহিতার প্রশ্নটা আসে। আজকে যারা ক্ষমতা দখল করে আছে, এই অনির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি কোনও জবাবদিহিতা নাই। সুতরাং যেখানে জবাবদিহিতার প্রশ্ন থাকবে না, সেখানে অব্যাহতভাবে ধর্ষণ চলবে।
সরকারের কাছে মানবাধিকার বলে কিছু নেই মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বাংলাদেশকে আজকে বিশ্বের সামনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে। পদে পদে মানবাধিকার লংঘন চলছে। যাদের নির্বাচনের জন্য ভোটের দরকার হয় না, তাদের কাছে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।
ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে অভিযোগ করে আমীর খসরু বলেন, ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে পূর্বনির্ধারিত স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে, নিঃশব্দে মানুষকে প্রতারিত করে তাদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে আবারও ক্ষমতা দখলের নতুন রাস্তা তারা বের করেছে। সুতরাং তাদের জনগণের কাছে যাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই, জবাবদিহিতার কোনও প্রয়োজন নেই। যে দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হবে সেখানে তো ধর্ষকদের স্বর্গরাজ্য হবেই।
সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করছে অভিযোগ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করছে শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য। এই লোকগুলো (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) এখন মানুষের স্বার্থ কিভাবে রক্ষা করবে? আপনি (সরকার) যদি ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের ব্যবহার করেন, তাহলে তারা তাদের দায়িত্ব কীভাবে পালন করবে? এটা কখনও সম্ভব না। সুতরাং আগামীতে যে নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে সেটিকে আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে নিয়েছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, অনির্বাচিত ও জবাবদিহিতাহীন সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে সারা দেশে নারী ও শিশু ধর্ষণ-নির্যাতন বাড়ছে। ঢাকা আজকে বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে অযোগ্য শহর। এমনকি নারী ও শিশু নির্যাতনের দিক দিয়েও ঢাকা অনিরাপদ শহরের তালিকায় এক থেকে পাঁচের মধ্যে অবস্থান করছে। এটা হয়েছে শুধুমাত্র একটি অনির্বাচিত ও জবাবদিহিতাহীন সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে। তিনি বলেন, ৩০ জানুয়ারির সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি আন্দোলনের অংশ হিসেবে। এই আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী দল জয়ী হবে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমানের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুন রায় চৌধুরীর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন