অবশেষে বগুড়ার সান্তাহারবাসী আন্দোনের সুফল পেলেন। গতকাল থেকে সান্তাহার স্টেশনে পঞ্চগড় থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর পঞ্চগড় ট্রেন যাত্রাবিরতি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। বৃহত্তম সান্তাহার জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি না দেওয়ায় প্রথম দিন থেকে যাত্রাবিরতির দাবিতে সান্তাহারের সর্বস্তরের মানুষ আন্দোলন শুরু করে।
একদিকে লোকসান অন্যদিকে সান্তাহার স্টেশনে ট্রেনটি যাত্রাবিরতির দাবি এসব মিলে অবশেষে প্রধানমন্ত্রী ও রেলমন্ত্রীর নির্দেশে গতকাল থেকে ট্রেনটি যাত্রাবিরতি দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। সান্তাহার স্টেশনে যাত্রাবিরতিতে ট্রেনটিতে যাত্রীসংখ্যা বাড়বে। ফলে ট্রেনটি লোকসানের কবল থেকে রক্ষা পেয়ে লাভের মুখ দেখবে বলে রেলের বিচক্ষণমহল মনে করেন।
প্রথম দিনে এই স্টেশনের তাপনুকুল ৮টি, তাপানুকুল শোভন ১৫টি ও ১১ শোভন চেয়ারের টিকিট বিক্রি হয়েছে। ট্রেনটি সান্তাহার স্টেশনে স্টপেজ দেয়ায় এসব এলাকার সর্বস্তরের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এবং রেলের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ট্রেনটি প্রথম যাত্রাবিরতির দিন গতকাল বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে সান্তাহার জংশন স্টেশনে এসে পৌঁছলে আনন্দ উল্লাসে মেতে ওঠেন স্টেশনে উপস্থিত সবস্তরের লোকজন। প্লাটফরমে আনন্দ সমাবেশ করা হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সাজেদুর ইসলাম চাম্পা, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুর হোসেন, প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন, নিসরুল হামিদ ফুতু সংবাদিক, গোলাম আম্বিয়া লুলু, খায়রুল ইসলাম প্রমুখ। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সান্তাহার স্টেশনে পঞ্চগড় ট্রেন যাত্রাবিরতি বাস্তবায়ন কমিটি মিষ্টি বিতরণ করেন এবং ট্রেন চালক মিজানুর রহমান, সহকারী চালক আসাদুজ্জামান, পরিচালক মো. মাহবুব হোসেন এবং ওই ট্রেনের যাত্রীদেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ও মিষ্টি মুখ করানো হয়। পঞ্চগড় থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে প্রতিদিন বিকেল ৫ টা ৫ মিনিটে সান্তাহার জংশন স্টেশনে এসে দাড়াবে এবং ৫টা ১০ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। এর পর বিমানবন্দর ষ্টেশনে যাত্রবিরতির পর রাত ৯টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা কমলাপুর ষ্টেশনে পৌঁছবে এবং রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে এসে ভোর ৪টায় সান্তাহার জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতির পর ৪টা ৫ মিনিটে পঞ্চগড়ের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন