স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এমপি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ শিক্ষা, সংস্কৃতি, কৃষি, শিল্প, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ কারণেই আগের হতদরিদ্র্যের দেশ বাংলাদেশকে নিয়ে এখন বিদেশের নেতারা প্রশংসা করেন। তিনি আরও বলেন, চৌদ্দগ্রাম ও লাকসামের মধ্যে আমি কোন পার্থক্য খোঁজে পাই না। চৌদ্দগ্রামবাসী আমার স্বজন, প্রিয়জন। মেধার প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দেশ গঠনে ভূমিকা পালনের জন্য আহবান জানান তিনি। শনিবার দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রজত জয়ন্তী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালনা কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুজিববর্ষ উদযাপনের প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর জহিরুল ইসলাম পাটোয়ারী, উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ রহমত উল্লাহ বাবুল, উপজেলা আ’লীগ নেতা জিএম মীর হোসেন, চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কলেজের অধ্যক্ষ আরিফুল ইসলাম লতিফী। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এলজিআরডি’র প্রধান প্রকৌশলী শঙ্কর আর্শ্চয্য, লাকসাম পৌর মেয়র আবুল খায়ের, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবিএম এ বাহার, জেলা কৃষকলীগ নেতা মমিনুর রহমান ফটিক, কামরুল হাসান মুরাদ, মুন্সিরহাট তাহেরা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুফিয়া খাতুন, লাকসামের জেলা পরিষদ সদস্য তানজিনা বেগম, ছাত্রলীগের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন রুবেল, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আহবায়ক তৌফিকুল ইসলাম সবুজ, ছাত্রলীগ নেতা মাসুম বিল্লাহ, মাসুদ, সাগরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবৃন্দ।
উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি বলেছেন, চৌদ্দগ্রামে বিগত সরকারের আমলে কোন উন্নয়ন হয়নি। ১৯৯৬ সালে আমি প্রথম নির্বাচিত হয়ে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করি। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এসে কোন উন্নয়ন করেনি। মামলা ও হামলায় আ’লীগের নেতাকর্মীরা ছিলেন অত্যাচারিত। আপনাদের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়ে চৌদ্দগ্রামের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন, রাস্তাঘাটসহ প্রধান সমস্যা সমাধান করেছি। সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান হয়ে আমি কখনো বাহাদুরী করিনি। আমি কর্মজীবনে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী ও প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমানের চৌদ্দগ্রামের ব্যাপক উন্নয়নে অবদান রাখায় ধন্যবাদ জানাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুজিব বর্ষ উদযাপনের প্রধান সমন্বয় কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, শিক্ষা হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ। জাতী গঠনে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। ছেলেমেয়েদেরকে মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করতে সহযোগিতা করতে হবে। সকলে মিলে বঙ্গবন্ধু আদর্শ বুকে ধারণ করে জন্মশত বর্ষ পালন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তৃণমূলের রাস্তাঘাট, পুল-কালভার্ট, ব্রিজের উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। সবার সহযোগিতায় চৌদ্দগ্রামকে মডেল চৌদ্দগ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলামসহ অতিথিবৃন্দ আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে চারতলা বিশিষ্ট মুন্সিরহাট প্রকৌশলী ওয়াহিদুর রহমান ডিগ্রী কলেজের মুজিবুল হক ভবনের উদ্বোধন করেন। এছাড়া চৌদ্দগ্রামের সকল উন্নয়ন তার সহযোগিতার আশ্বাসসহ ডায়াবেটিক হাসপাতালের জন্য এক কোটি টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন