রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

পাবনার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীকে সরকার সহায়তা দিলেও এখনও সুবিধা বঞ্চিত !

পাবনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ জানুয়ারি, ২০২০, ৪:১৭ পিএম

সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষ জন। ইতোপূর্বে সুবিধা বঞ্চিত ছিলো এই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী । বিগত ২০১৭ সালে থেকে তাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয় । সরকারিভাবে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয় । এই সময়ে সরকারের ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান ডিলু এম.পি বলেন, ভূমিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের দারিদ্র্য জনপদ, অশিক্ষা, কুসংস্কার, পশ্চাৎমুখিতা, সুবিধা বঞ্চিত, অভাব-অনটন, দুঃখ-দুর্দশাক্লিষ্ট মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ১৯৯৬ সাল থেকেই বয়স্কভাতা, বিধবা ও দুঃস্থ নারী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা এবং প্রতিবন্ধী ভাতা চালু হয়।’

প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে অটিইজম ও প্রতিবন্ধীদের মানবিক স্বাস্থ্য সমস্যাটি বিশ্ব সমাজের দৃষ্টিতে আনা সম্ভব হয়েছে। ক্ষুদ্র ন-ৃগোষ্ঠী স¤প্রদায়, হিজড়া এবং বেদে সম্প্রদায় সকলকেই সরকার ভাতা দিচ্ছে এবং তাদের সন্তাদেরও শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

পাবনার ‘ঈশ্বরদীর এ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সন্তানদের প্রাইমারি স্কুল পড়ুয়া ৩২৫ জন ছাত্র/ছাত্রীকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মাধ্যমিক শ্রেণীতে পড়ুয়া ১৮ জনকে ২৮ হাজার ৮০০ টাকা এবং কলেজে পড়ুয়া ১৩ জন ছাত্র/ছাত্রীকে ৩১ হাজার ২০০ টাকাসহ মোট ৩ লাখ টাকার অনুদান সরকার দিচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষুদ্র ন-ৃগোষ্ঠী স¤প্রদায়, প্রতিবন্ধী ও হিজড়া ও বেদে স¤প্রদায় যাতে সমাজে পিছিয়ে না পড়ে সেজন্য তিনি এ অর্থ দান করে যাচ্ছেন।’
পরে মন্ত্রী তার নিজের তহবিল হতে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে তিন লাখ ২৫ হাজার টাকা, গোরস্থান, জামে মসজিদ ও বিভিন্ন ব্যক্তির অনুকূলে তিন লাখ ৩৪ হাজার টাকাসহ মোট ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার অনুদান বিতরণ করেন।
এদিকে , এক সূত্রে পাওয়া তথ্যে আজ শনিবার জানা গেছে ,

‘সরকারি বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক মানুষ। গ্রামে স্কুল , চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই । বছরের বেশিরভাগ সময় কাজ পান না তারা। ফলে দারিদ্রতা পিছু ছাড়ছে না তাদের।
ঈশ্বরদী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মাড়মি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পল্লীতে শতাধিক মানুষের বাস। ওই গ্রামে গিয়ে জানা যায়, সেখানে ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠিত সেন্ট ফিলিপস শিশু শিক্ষা কেন্দ্রটি অর্থাভাবে এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাড়মি পল্লীর অধিকাংশ শিশুর পড়া লেখাও বন্ধ। এখন তারা পরিবারের সঙ্গে মাঠে কাজ করে। কিছু শিক্ষার্থী বহু দূরের স্কুল-কলেজে পড়াশোনা করলেও অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
মাড়মি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পল্লীর বাসিন্দা পৌল বিশ্বাস ঐ পোর্টালকে জানান, এই গ্রামে চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। যে কোনো ধরনের চিকিৎসা সেবা পেতে হলে কয়েক কিলোমিটার দূরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র অথবা ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যেতে হয়।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন