রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ট্রেনকে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার চলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমি চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারতসহ বিভিন্ন উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশ ভ্রমণ করেছি। স্প্রতি ভারতে ট্রেন ভ্রমণ করেছি। সেখানে ঘণ্টায় ১৬৭ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চালানো হয়। এ ব্যবস্থা বাংলাদেশেও করা হবে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র দুই ঘণ্টা।
গতকাল (শনিবার) রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। রেলমন্ত্রী বলেন, একসময় দেশের প্রধান পরিবহন ব্যবস্থা ছিলো রেল ও নদীপথ। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদারবাহিনী এসব যোগাযোগ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধে অনেক রেলওয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীরা শহীদ হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু দেশ স্বাধীন করার পর আবারও রেলব্যবস্থা আগের মতো ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন।
নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর রেলকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে গেছেন। মেট্রোরেল ও হাইস্পিড ট্রেন চলাচলের জন্য মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা হাইস্পিড ট্রেনের জন্য গঠিত কমিটি ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তারপর আমরা পুরোদমে কাজ শুরু করে দেব। কারণ রেলব্যবস্থা ছাড়া উন্নত দেশ গঠন করা সম্ভব নয়।
রেলমন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম-আখাউড়া ডাবল লাইনে উন্নীত করা হচ্ছে। ডাবল লাইনের কাজ শেষ হলে, এখন যে সংখ্যক ট্রেন চলাচল করছে তখন এর চেয়ে ডাবল ট্রেন চালানো যাবে। তিনি বলেন, রেলওয়ের আলাদা পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী আছে। আছে রেলওয়ে হাসপাতাল ও রেল কর্মকর্তাদের জন্য বাসা। আলাদা যোগাযোগব্যবস্থা এবং পরিবহন ব্যবস্থাও আছে। সে হিসেবে আমারতো মনে হয়, রেলমন্ত্রণালয় হলো সরকারের ভেতর আরেকটা সরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন