বিশ্ব ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে ময়দান থেকে লাখ লাখ মুসল্লি একসাথে নিজ নিজ গন্তব্যে যাওয়ার পথে যানবাহন সঙ্কটে পড়ে চরম দুর্ভোগের শিকার হন। মোনাজাত শেষে লাখ লাখ মুসল্লি ইজতেমা ময়দান থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে স্রোতের মতো এক সাথে ফিরতে শুরু করলে এক পর্যায়ে ময়দানের চার দিকে ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার ব্যাপী বিস্তীর্ণ এলাকায় মানব জটের সৃষ্টি হয়। এদিকে ভোর থেকে টঙ্গী থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার ও টঙ্গী থেকে পূবাইল পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার, টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার, টঙ্গী থেকে আশুলিয়া সড়কের ৫কিলোমিটার পর্যন্ত ইজতেমামুখী সকল যানবাহন চলাচল মুসল্লিদের মোনাজাত শেষে বাড়ি ফেরার জন্য বন্ধ রাখা হয়। এতে মুসল্লিরা পায়ে হেঁটেই ওই সকল দূরত্বের পথ পাড়ি দিয়ে মোনাজাত শেষে যে যার গন্তব্যে রওয়ানা দেন। বিভিন্ন জেলা হতে বাস রিজার্ভ করে আসা জামাতবন্দি মুসল্লীরা মোনাজাত শেষে নির্ধারিত গাড়ি পার্কিং এলাকায় গিয়ে যার যার গাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেন। এরপর একসাথে সকল গাড়ি ছাড়ায় রাজধানি ও আশপাশের প্রতিটি সড়কে তীব্র জানযটের সৃষ্টি হয়। যেসকল মুসল্লী বাস রিজার্ভ করতে পারেননি তারা ফেরার পথে নিরুপায় হয়ে স্থানীয় ট্রাক ট্রার্মিনাল থেকে ট্রাক ভাড়া নিয়ে গাদাগাদি করে যার যার গন্তব্যে ফিরতে দেখা যায়। বিশ্ব ইজতেমায় যাতাতের সুবিধার্থে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ মুসল্লীদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করলেও আখেরি মোনাজাত শেষে একসাথে লাখ লাখ মুসল্লীর বাড়ি ফেরার জন্য তা ছিল খুবই অপর্যাপ্ত। ফলে মুসল্লীগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদ ও জানালায় ঝুলে গন্তব্যে রওয়ানা দিতে হয়। এ রিপোর্ট লেখার সময়ও হাজার হাজার মুসল্লী ট্রেনের অভাবে ষ্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। এদিকে ৫৫তম বিশ্ব ইজতেমা শেষে দেশ-বিদেশে যাওয়ার জন্য তাশকিলকৃত চিল্লাধারী মুসল্লীগণকে তাশকীল কামরায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তারা সেখান থেকে আগামি এক দুই দিনের মধ্যেই জামাতবন্দি হয়ে দাওয়াতি কাজে দেশ বিদেশের উদ্দেশে রওয়ানা দিবেন বলে তাশকিল কক্ষের জিম্মাদার জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন