চাঁদপুর জেলা সংবাদদাতা : চাঁদপুরের হাইমচর মেঘনা নদীতে ট্রলারডুবির ৬ দিন পর ডুবন্ত ট্রলারটি উদ্ধার করেছে স্থানীয় ডুবুরীরা। রোববার বিকেল ৫টায় ডুবুরীরা মাঝেরচর এলাকার নদী থেকে ট্রলারটি উদ্ধার করে। এসময় ট্রলারের ভেতর থেকে ৩টি লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফাহিম (৪) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ফাহিম হাইমচরের ঈশানবালা এলাকার লিটন হাজির ছেলে। উদ্ধার করা লাশগুলো হচ্ছে- সালেহ উদ্দিন নেপালের স্ত্রী আলেয়া (২৬), তার মেয়ে স্বর্ণা (৪) ও ল²ীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কুচ্চামারা গ্রামের মোস্তফা মৃধার ছেলে মানিক (৪)।
এদিকে দুর্ঘটনায় প্রশাসকের তালিকাভুক্ত আরো ৫ জন নিখোঁজ রয়েছে। তারা হচ্ছে- মোস্তফা মৃধার ছেলে রতন (২), আহমদ উল্লাহ (৩৭), শাহআলমের স্ত্রী নারগিস (৩২) ও মেয়ে শাহজাদী (১৭), সালেহ উদ্দিন নেপালের ছেলে সিয়াম (৮)। নিখোঁজদের সন্ধানে এখনো খুঁজে ফিরছে তাদের স্বজনরা।
হাইমচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওয়ালি উল্লাহ ওলি জানান, বরিশালের অন্তর্বান এলাকার স্থানীয় জেলেদের জালে ওই ফাহিমের লাশ ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে হাইমচরে নিয়ে আসে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম সরওয়ার কামাল জানান, আমরা নিহতদের দাফনের জন্য ১০ হাজার টাকা করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রদান করেছি। ইতোপূর্বে আহতদের চিকিৎসার জন্যও ৫ হাজার টাকা করে দেয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় হাইমচর মাঝেরচর এলাকায় মেঘনা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকারের ধাক্কায় ‘এমভি রবিন’ নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রলার ৬০/৭০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। ঐ ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন নিখোঁজ হয়। যদিও ট্রলারের যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় কমপেক্ষ ২০ জন নিখোঁজ হয়েছিলো।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন