চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নানামুখী আলোচনা অব্যাহত আছে। এমনিতেই এ উপনির্বাচন নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ ছিল কম। তার উপর ভোটের নানা অনিয়ম নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা ছিল গতকাল মঙ্গলবার দিনভর। বিজয়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। অন্যদিকে পরাজিত বিএনপির প্রার্থী আবু সুফিয়ান ও তার সমর্থকদের মধ্যে বিষাদের ছোঁয়া। মাত্র এক বছরের কিছু সময় আগে জাতীয় নির্বাচনে অনেকে ভোট দিতে পারেননি। উপনির্বাচনেও একই চিত্র। ভোট পড়েছে মাত্র ২২ শতাংশ। এদিকে নির্বাচনের আগমুহূর্তে আসনটি ধানের ছরাকে (ধানের শীষ) ছেড়ে দেয়া হচ্ছে স্থানীয় রাজনীতিতে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। তবে শেষ পর্যন্ত আসনটি আওয়ামী লীগের ঘরেই গেছে। ৭৩ সালের পর প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের কোন নেতা বিজয়ী হলেন এ আসনে। জয়-পরাজয়ের পাশাপাশি ভোট দিতে না পারার কষ্ট নিয়েও নানামুখী আলোচনায় সাধারণ মানুষ। তাদের কেউ বলছেন, এভাবে ভোটের নামে টাকা অপচয়ের দরকারই বা কী। ভোট দিতে গিয়ে যারা বিফল হয়েছেন কিংবা নৌকার সমর্থকদের কথামতে ভোট দিতে বাধ্য হয়েছেন তারাও নিজেদের তিক্ত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছেন আলাপচারিতায়। নগরীর বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ এবং বোয়ালখালীর পূর্ব ও পশ্চিম গোমদণ্ডী, ফুলতলা, পোপাদিয়ায় ভোটের আলোচনায় সরব ছিলেন অনেকে। ভোটের আগে সরকার দলীয় প্রার্থী মোছলেম উদ্দিন আহমদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিও উঠে আসে আলোচনায়। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বোয়ালখালীবাসীর প্রাণের দাবি কালুরঘাট সেতু কবে নাগাদ দৃশ্যমান হয় তা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন