মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রীসহ দুই বান্ধবীকে গণ ধর্ষণের ঘটনায় চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৩ ধর্ষক স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দী দিয়েছে।
বুধবার ১৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৩ ঘটিকায় মৌলভীবাজার অতিরিক্ত চিপ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিন ধর্ষক মুন্না (২৬), হুমায়ুন (২০) ও আকাশ (২২) কে পুলিশ হাজির করে।আদালতের বিজ্ঞ বিচারকের কাছে তারা ধর্ষনের সাথে জড়িত রয়েছে মর্মে পৃথক স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দী দিয়েছে। মুন্না ও হুমায়ুন কলেজ ছাত্রীকে ও আকাশ তার বান্ধবীকে ধর্ষনের কথা জানায়। অপর দিকে কলেজ ছাত্রীর বান্ধবী ধর্ষিতা ও মামলার সাক্ষী আদালতে তার জবানবন্দী উপস্থাপন করে।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমঙ্গীর হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান মঙ্গলবার দুপুরে মৌলভীবাজার সরকারি মহিলা কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রেসক্লাবের সন্মুখে এসে একটি সিএনজিতে উঠলে কিছুক্ষণ পর ৪ জন ধর্ষক সিএনজি অটোরিক্সাতে উঠে সিএনজিতে পর্দা টেনে দুই বান্ধবীর হাত বেঁধে ফেলে। পরে তাদেরকে মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামের পেছনে পাহাড়ী এলাকার নির্জনস্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের মারধর করে মোবাইল ও টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তাদেরকে পালাক্রমে ৪জন মিলে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর পুলিশ রাতে ৩ জনকে আটক করে।
উল্লেখ্য ধর্ষনের পর ঘটনাস্থল থেকে তারা কৌশলে বেরিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। পরে পুলিশ আত্মীয় স্বজনকে খবর দিয়ে ২ বান্দবীকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে তাদের ভর্তি করে।
ধর্ষনের ঘটনায় কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ৫ জনকে অভিযুক্ত করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নাম্বার ১২, তারিখ ১৪/০১/২০২০।
অভিযুক্ত ধর্ষক মুন্না মিয়া সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের উত্তর জগন্নাথপুর এলাকার ইসমাইল মিয়ার ছেলে, আকাশ একই এলাকার হাসিব উদ্দিনের ছেলে, হুমায়ুন একই এলাকার ছুরফ মিয়ার ছেলে। এদিকে ধর্ষিতাদের বাড়ি সদর উপজেলার বাউরভাগ গ্রামে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন