কুমিল্লা বরুড়ার পল্লী বিদ্যুৎ-১ আড্ডা অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ শরিফ উদ্দীন খান (৪৫) কে ঘরে প্রবেশ করে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার দিবাগত রাতে আড্ডা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শরিফকে কুমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শরিফ সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের সাইফুল ইসলাম খানের ছেলে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, শরিফ ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বরুড়া পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে যোগদান করেন। উপজেলার বরুড়া জোনাল অফিসের আওতায় আড্ডা ইউনিয়নের আড্ডা পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রে তিনি ৩ মেয়ে ও স্ত্রী ওম্মে মোনালিছা (হিমু)সহ পরিবারে বসবাস করতেন। নিহত স্ত্রী জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে মুখ বাঁধা ৪ জন পুরুষ রান্নাঘরের জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত শরিফের মাথায় রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পাশের রুমে স্ত্রী হিমু তিন মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। পাশের রুমে থাকা তার স্ত্রী শব্দ পেয়ে দরজা খুললে দুর্বৃত্তরা তাকে বেঁধে গলার চেইন ও কানের দুলসহ তার স্বামীর প্যান্ট থেকে টাকা নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্ত্রী হিমুর চিৎকার শুনে প্রতিবেশি ইদ্রিস মিয়া তার হাতের বাধন খুলে দেন। খবর পেয়ে পুলিশ আহত শরিফকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে বরুড়া থানা ওসি (তদন্ত) ইকবাল বাহার বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাÐ। দুর্বৃত্তরা ঘরে প্রবেশ করেই শরিফের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পাশের রুমে থাকা তার স্ত্রী হিমু তাদের উদ্দেশে বলে, আমার স্বামী ও সন্তানদের কোনো ক্ষতি করবেন না, সে স্বেচ্ছায় তার ব্যবহৃত স্বর্ণলঙ্কার দিয়ে দেয়। তখনো সে ভেবেছিল তার স্বামী শরিফকে তারা কিছু করেনি। পরক্ষণে সে বুঝতে পারে তার স্বামী রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে পড়ে রয়েছে। আমরা নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছি। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন