ওয়াজ মাহফিলে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় উস্কানীমূলক বক্তব্য প্রদানকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে হাটহাজারী উপজেলা হেফাজতে ইসলাম। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় হাটহাজারী চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানবন্ধন শেষে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব ও দারুল উলূম হাটহাজারীর মুহাদ্দিস মাওলানা ইয়াহিয়া সাহেবের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন দারুল উলুম হাটহাজারী সিনিয়র মুফতি ও মুহাদ্দিস আল্লামা জসীম উদ্দীন আনসারী, মাওলানা ফোরকান আহমদ, মাওলানা মাহবুবুল আলম, আহসানুল্লাহ মাস্টার, মাওলানা আনোয়ার শাহ আযহারী, মাওলানা হাফেয মুইনুদ্দীন, মাওলানা ইবরাহীম খলীল, মাওলানা জাহেদুল্লাহ খান, মাওলানা হাসান মুরাদ, মাওলানা এনাআমুল হক, মাওলানা রবিউল হাসান প্রমুখ। দীর্ঘ অর্ধ কিলোমিটার ব্যাপী মানববন্ধনে সহশ্রাধিক ধর্মপ্রাণ তৌহিদি জনতা অংশ নেয়। মানববন্ধনে বক্তাগণ বলেন, ওয়াজ মাহফিলের মাধ্যমে ঈমান ও ইসলামের কথা সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরা হয়। ওয়াজ-নছিহত সর্বসাধারণকে সদুপোদেশ দেয়। ওয়াজ মাহফিলের নামে আল্লামা আহমদ শফি সাহেব দা.বা. সহ আহলে হক ওলামায়ে কেরামকে গালি-গালাজ করে আম জনতার মাঝে হাঙ্গামা সৃষ্টি করা কোনো বরদাশত করা হবে না। গত ৩ ডিসেম্বর সাতকানিয়া উপজেলার খাগরিয়া ইউনিয়নের একটি মাহফিলে নুরে বাংলা নাম ধারণকারী ছদ্মবেশী মাহবুবুল হক আল কাদেরী নামক জৈনক বক্তা হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মুহতারাম আমীর, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মহপরিচালক শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফীসহ দেশখ্যাত ওলামায়ে কেরামদের অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ নোংরা ভাষায় গালি-গালাজ করেন। এতে তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে বাদী হয়ে গত ৮ জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন হেফাজতে ইসলাম ও সাতকানিয়া ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবদুল মুবিন। পরে তাকে আটক করে জেলে রাখা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন