হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি বলেছেন, দেশে জেনা বেড়ে গেছে। স্কুল-কলেজে জেনা চলছে প্রতিনিয়ত। তিনি বলেন, নারী পুরুষ এক সাথে বসে পড়াশোনা করাকে সহাশিক্ষা বলে। আমি নারী শিক্ষার বিরোধী নই। সহশিক্ষার বিরোধী। কেননা সহশিক্ষার কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এমনকি পিতৃতুল্য শিক্ষকও অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তোলে। এসব সহশিক্ষার কুফল। আমি সহ-শিক্ষার বিরোধী। আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ করবেন সে যেন নারীদের আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে। নারীদের নিরাপদ আলাদা শিক্ষা ব্যবস্থা চালু হলে নারীরা ধর্ষণ, যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পাবে।
তিনি আরো বলেন, মুসলমানদের ঘরে এখন কোরআন তেলাওয়াত নেই। আপনারা আমার সাথে ওয়াদা করেন, আজ থেকে কোরআন পড়বেন। আপনাদের বিবিদের পর্দা মেনে চলতে আদেশ করবেন। কেননা ইসলামে পর্দা ফরজ।
আল্লামা আহমদ শফি আরো বলেন, আপনারা মাহফিলে এসেছেন, দ্বীনের অনেক কথা শুনেছেন, যদি এসব মতে আমল না করেন তাহলে কোনো লাভ নেই, ওয়াজ শুনে আমল করতে পারলে তবেই কামিয়াবি।
তিনি বলেন, এক ওয়াক্ত নামাজ না পড়লে ২ কোটি ৮০ লাখ বছর জাহান্নামে জ্বলতে হবে। তাই নিয়মিত নামাজ আদায় করবেন। অন্যথায় জাহান্নামের কঠিন আজাব ভোগ করতে হবে। মাতা-পিতার হক আদায় করবেন, নেক নজরে মা’র চেহারা দেখলে একটি মকবুল হজের সওয়াব পাওয়া যায়। সমাজ এখন অনেক খারাপ, মদপানের টাকা না দিলে মা-বাবার উপর অত্যাচার করে অনেক যুব সমাজ! সাবধান, সবাইকে মরতে হবে, এ কথা স্মরণ রাখবেন যুবক। তিনি গতকাল বিকালে ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি ও সেবামূলক সংগঠন রাউজান ইসলামী নবজাগরণ ও ইসলামী সম্মেলন সংস্থার যৌথ উদ্যোগে রাউজান পৌর এলাকার গহিরা উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে আয়োজিত বিশাল তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। মাওলানা হারুনুর রশিদের সঞ্চালনায় ও বাস্তবায়ন কমিটির সচিব মুহাম্মদ হানিফের তদারকিতে উক্ত তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রধান মুফাচ্ছির ছিলেন বিশিষ্ট দাঈ মাওলানা মুফতি নজরুল ইসলাম কাসেমী। প্রধান বক্তা ছিলেন মাওলানা ফরিদ উদ্দীন আল-মোবারক। বক্তব্য রাখেন মাওলানা আজিজুল ইসলাম জালালী, মাওলানা মুফতি মেরাজুল হক মাজহারী, মুফতি নুরুল আমিন ফরিদী, মাওলানা ইসমাঈল খান, মাওলানা মোস্তফা নূরী, গাজী মাওলানা ছানাউল্লাহ, মাওলানা হারুন আজিজী নদভী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন