শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন: আ স ম আব্দুর রব

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০২০, ৭:০৮ পিএম

ছবি- মতিউর সেন্টু।


‘সরকার ও নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস নেই। সে কারণে সুষ্ঠু ভোট ছাড়াই ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নিত্যনতুন কূটকৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। জনগণকে নানাভাবে হয়রানি ভয়-ভীতি সন্ত্রাস ও গ্রেফতারের মাধ্যমে নির্বাচন বিমুখ করা হয়েছে। নির্বাচনে ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতিতে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছে সরকার ও নির্বাচন কমিশন। আর ইভিএম ভোট চুরি নতুন পদ্ধতি। আল্লাহর ওয়াস্তে আপনারা ইভিএম পন্থা বাদ দিন। এটাকে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিন।’-জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব এসব কথা বলেছেন।

আজ শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে আসন্ন ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ইভিএম বাতিলের আহ্বান জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে এ আহ্বান জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অন্যতম শীর্ষ নেতা আ স ম আব্দুর রব।

রব বলেন, যে কোনো যন্ত্র বা প্রযুক্তি চলে মানুষের কমান্ডে। কিন্তু যারা কমান্ডে আছে তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইভিএমের মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করবে একথা বলাই বাহুল্য। ইভিএমে প্রযুক্তি এবং তথ্য পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মধ্যরাতে ভোটের ধারাবাহিকতায় এটা হবে আরও একটি জঘন্য দৃষ্টান্ত। ইভিএম পদ্ধতি বিতর্কিত এবং সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। এভাবে ভোট করলে তা পুরো নির্বাচনী প্রক্রিয়া পদ্ধতিও ব্যবস্থাকে অশুভ অভাঘাতের দিকে নিয়ে যাবে নিঃসন্দেহে।

জেএসডির সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ সংবিধানে নির্বাচন সম্পর্কে প্রকাশ্যে পেপার ব্যালটের কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে ভোটের গোপনিয়তা রক্ষিত হবে। কিন্তু ইভিএমে ভোট এর গোপনীয়তা থাকেনা, ভোটারদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে না। একটি সত্যিকারের গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকার ও সংবিধান লংঘন। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি ও প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণ সেই মালিকানা প্রতিষ্ঠা করেন। তারা সুষ্ঠু ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধ নির্বাচন করেন। কিন্ত বর্তমানে দেশে ভোটাধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। ভোট ছাড়াই নির্বাচন ও সরকার গঠিত হচ্ছে।

এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্খায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আবু সাঈদ, নুরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জহির উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, সানোয়ার হোসেন, ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন