স্টাফ রিপোর্টার : মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মানছে না নামী-দামী বেসরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। সম্প্রতি ১৫ দিনের মধ্যে তিনটি মেডিকেল কলেজকে জমি নিবন্ধনের নির্দেশ দিলেও সময় শেষ হওয়ার আগেই আরও তিন মাস সময় বাড়ানো হয়েছে। তবে এই তিন মাসের মধ্যে ৩ মেডিকেল কলেজের নামে জমি নিবন্ধন না করলে সেগুলোতে ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। গতকাল সচিবালয়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ পরিচালনা নীতিমালা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এ কথা জানান। এদিকে শুধু এই ৩ মেডিকেল কলেজকেই নয় সব বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে আগামী ৩ মাসের মধ্যে কলেজের নামে জমি নিবন্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সূত্র মতে, ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ এবং পপুলার মেডিকেল কলেজকে সম্প্রতি জমি নিবন্ধনের জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যে সময় শেষ হবে আজ বৃহস্পতিবার। এসব মেডিকেল কলেজগুলো জমি নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধির দাবিতে সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এক সভায় আরও ৩ মাস সময় বর্ধিত করা হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ১৯৮৮ সাল থেকে ধানমন্ডিতে জমি নিবন্ধন ছাড়াই তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আরেক প্রতিষ্ঠান উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ ২০০৭ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এছাড়া ২০১০ সালে পপুলার মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘদিন থেকে জমি নিবন্ধন ছাড়াই এসব মেডিকেল কলেজ তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ধানমন্ডির বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ এবং পপুলার মেডিকেল কলেজকে আগামী তিন মাসের মধ্যে জমি নিবন্ধন করতে হবে। অন্যথায় ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়া হবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ তিনটি ছাড়াও যে সব মেডিকেল কলেজের নামে জমি নিবন্ধন করা নেই সেগুলোকেও আগামী তিন মাসের মধ্যে নিবন্ধন করার জন্য সভা থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। গতকালের সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি প্রফেসর ডা. শহীদুল্লাহসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, এই তিনটি মেডিকেল ছাড়াও ডেল্টা মেডিকেল কলেজ, আনোয়ার খান মেডিকেল কলেজ, শাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজসহ অধিকাংশ বেসরকারি মেডিকেল দীর্ঘদিন থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন