শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৮ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ভার্মি কম্পোস্ট জনপ্রিয় হচ্ছে

ইমাম হোসেন, মীরসরাই (চট্টগ্রাম) থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৫ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

মীরসরাইয়ে দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে কেঁচো থেকে উৎপাদন হওয়া ভার্মি কম্পোস্ট সার। কম দাম ও বেশি কার্যকর পরিবেশবান্ধব ও সাশ্রয়ী হওয়ায় জন্যই এই সার ব্যবহার আগ্রহী হচ্ছেন কৃষক। কেঁচো, হাঁস মুরগীর বিষ্ঠা, গবাদি পশুর গোবর ও রান্নার শাক-সবজির উচ্ছিষ্ট খোসা, কচুরিপানার মিশ্রণে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদন করা হয় কেঁচো সার, যা ভার্মি কম্পোস্ট সার।
জানা গেছে, মীরসরাই উপজেলায় ভার্মি সার তৈরিতে সহযোগিতা করছে উন্নয়ন সংস্থা অপকা। উপজেলার ১নং করেরহাট ইউনিয়নের ৭০টি কৃষক পরিবারকে থাইল্যান্ডের এক পোয়া অর্থাৎ ৭শ’ টি কেঁচো দেয়া হয়। এছাড়াও একটি করে সিমেন্টের গাবলায় ও টিন দেয়া হয় অপকা থেকে। পরে কৃষকদের ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরির প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। পচনশীল দ্রব্য দিয়ে তৈরি ভার্মি সার ব্যবহারে জমির গুণগত মান ঠিক থাকে।
উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ঘেরামারা গ্রামের কৃষক আব্দুল হাই জানান, একটি গাবলায় ৫০কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করা যায়। সার তৈরিতে প্রয়োজন হয় কেঁচো, পঁচা গোবর, হাঁস মুরগীর বিষ্ঠা তরকারির খোসা ও কচুরিপানা। তবে সব উপকরণ না পেলেও কেঁচো ও পঁচা গোবর দিয়ে এই সার তৈরি করা যায়।
একই ইউনিয়নের দক্ষিণ ছত্তরুয়া গ্রামের বিবি হাজেরা জানান, ৫০ কেজি সার উৎপাদন করতে সময় লাগবে এক মাস। ৫০ কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার ৩০ শতক জমিতে ব্যবহার করা যায়। ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরিতে তেমন খরচ হয় না হওয়ায় কৃষকেরা ও আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছে।
একই গ্রামের শামসুর নাহার জানান, ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারের ফলে ফলন বেড়েছে। তাছাড়া নিজেই উৎপাদন করি বলে খরচও কমে গেছে। আর কেঁচো সারের পাশাপাশি কেঁচো বিক্রি করে বাড়তি আয় হচ্ছে। এতে সংসারের ছোটখাটো চাহিদাও মেটাতে পারছি।
অপকার উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রাথমিক ভাবে অপকা থেকে ৭০ জনকে ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরিতে সহযোগিতা করছি। কিন্তু এখন বর্তমানে নিজ উদ্যোগে আরো ২০ জন সহ প্রায় ৯০জন ভার্মি কম্পোস্ট সার তৈরি করছেন। এখানে কৃষকেরা প্রতি কেজি ভার্মি কম্পোস্ট সার ২০ টাকার করে বিক্রি করে থাকে। আর কেউ পাইকারী নিলে প্রতি কেজি পড়ে ১৫ টাকা করে।
সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান জানান, রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির উর্বরতা দিন দিন কমে যায়। আর রাসায়নিক সারের তুলনায় ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগে জমির ফলন আরো ভালো হয়। ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহারে জমির গুণগত মানের কোন ক্ষতি হয় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন