শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মুজিব বর্ষে ইতিহাসের বড় বইমেলা

মেলাজুড়ে থাকবেন বঙ্গবন্ধু রোববার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নুর হোসেন ইমন | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সাল মুজিববর্ষে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বই মেলার আয়োজন করছে বাংলা একাডেমি। এছাড়াও এবারের অমর একুশে গ্রন্থমেলা সবচেয়ে সুন্দর ও সুবিন্যস্তভাবে সাজানো হচ্ছে পাঠকদের জন্যও থাকছে নানান সুযোগ-সুবিধা।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের কিছুক্ষণ আগে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রতিবছর পহেলা ফেব্রæয়ারিতে শুরু হলেও এবার ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের জন্য একদিন পর ২ তারিখ থেকে মেলা শুরু হবে। আয়োজনের প্রস্তুতিও প্রায় শেষের দিকে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত বছরের তুলনায় মুজিববর্ষে বইমেলার স্টল ও পরিধি প্রায় ৩০ ভাগের মতো বাড়ানো হয়েছে। এবার মেলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর লিখিত ২৬টি বই থেকে প্রতিদিন একটি করে আলোচনা সভার আয়োজন থাকবে। বঙ্গবন্ধু পাঠাগার নামে একটা পাঠাগার থাকবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির পরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এবারের বইমেলা হবে বাংলাদেশিদের জন্য সবচেয়ে বড় আয়োজন। বঙ্গবন্ধুকে উৎসর্গীকৃত বই মেলা আমরা অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মেলায় আপনারা এর বাস্তবায়ন দেখতে পাবেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলা একাডেমির সচিব মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এর সদস্য-সচিব ড. জালাল আহমেদ প্রমুখ।
আসছে রোববার বিকেল ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেলা উদ্বোধন করবেন। এরপর তিনি মেলা পরিদর্শন করবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি। বাংলা একাডেমির সভাপতি জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু রচিত আমার দেখা নয়াচীন-এর মোড়ক উন্মোচন করবেন।
এবার বাংলা একাডেমি থেকে ৪১টি নতুন ও ৬১টি পুনমুর্দ্রিত বই প্রকাশিত হবে। সোহরাওয়ার্দী অংশে শিখর, সংগ্রাম, মুক্তি ও অর্জন নামে ৪টি কর্ণার থাকবে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তে দুটি ফুডকোর্ট থাকবে। নামাজ ঘর, পুলিশ ব্রেস্টফডিং কর্ণার, হুইলচেয়ার ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকবে।
ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে। তবে ২১ ফেব্রুয়ারিতে সকাল ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে বলে জানানো হয়। মেলায় এবার ৫৬০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। ৮৭৩টি ইউনিট, ৩৪টি প্যাভিলিয়ন ও ১৫৮টি লিটলম্যাগ স্টল থাকবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে গ্রন্থমেলার প্রবেশ ও বাহিরপথে পর্যাপ্ত সংখ্যক আর্চওয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেলার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, বিজিবি ও গোয়েন্দা সংস্থাসমূহের নিরাপত্তাকর্মীবৃন্দ। নিñিদ্র নিরাপত্তার জন্য মেলায় এলাকাজুড়ে ৩ শতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গ্রন্থমেলা সম্পূর্ণ পলিথিন ও ধূমপানমুক্ত থাকবে।
মেলাপ্রাঙ্গণ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (সমগ্র মেলাপ্রাঙ্গণ ও দোয়েল চত্বর থেকে টিএসসি হয়ে শাহবাগ, মৎস্য ভবন, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট হয়ে শাহবাগ পর্যন্ত এবং দোয়েল চত্বর থেকে শহীদ মিনার হয়ে টিএসসি, দোয়েল চত্বর থেকে চাঁনখারপুল, টিএসসি থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত) নিরাপত্তার স্বার্থে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে। মেলার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং নিয়মিত ধূলিনাশক পানি ছিটানো এবং প্রতিদিন মশক নিধনের সার্বিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন