বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পদ্মার বালি উত্তোলন

মাসে অর্ধকোটি টাকা চাঁদা আদায়

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:৩৯ এএম

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে একটি প্রভাবশালী মহল। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ৫টি স্থানে পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এর ফলে বন্যার সময় হুমকির মুখে পড়বে রায়টা-মহিষকুন্ডি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। সেই সাথে ধ্বস নামতে পারে ফিলিপনগর-ইসলামপুর বøক দিয়ে নির্মিত স্থায়ী বাঁধেও।
এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছে, বৈরাগীরচর রিফুজিপাড়ার হাম্বার খা, বৈরাগীরচর পূর্বপাড়ার নাসির উদ্দিন মেম্বর ও শাহীন আলী এবং হাটখোলাপাড়ার রাজা ও লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডার উজ¦লসহ ২০-২৫জন স্থানীয় প্রভাবশালী বৈরাগীরচরের আবু বক্কর হাজীর বাড়ির নীচে, বৈরাগীরচর বাজার সংলগ্ন ও ভাদুশাহ্র মাজার সংলগ্ন পদ্মা নদী থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি অবৈধভাবে উত্তোলন করে থাকে। অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসনকে অবহিত করা হলে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনকারীদের নিষেধ ও সতর্ক করেন।
প্রশাসনের নিষেধ ও সতর্কতা অমান্য করে ওই প্রভাবশালী মহল পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে। ট্রলি প্রতি ২০০ টাকা চাঁদা নিয়ে ওই প্রভাবশালী মহল প্রতিদিন শত শত ট্রলি বালি উত্তোলন করে থাকে। প্রতি মাসে কমপক্ষে অর্ধকোটি টাকা ট্রলি প্রতি চাঁদা আদায় করে ওই প্রভাবশালী মহল। কেউ মুখ খুললেই তাদের বিরুদ্ধে নেমে আসে খড়গ ও দেওয়া নানা ধরনের হুমকি। বালি উত্তোলনে চাঁদা আদায়কারী ওই মহল প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তারা বালি উত্তোলন করছে বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
তবে দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন এবং অন্তত ৫টি বালি ভর্তি ট্রলির ইঞ্জিনের ফিতা কেটে দেন। সেইসাথে ট্রলির যন্ত্রাংশ জব্দ করেন। এরপরও থেমে নেই ওই প্রভাবশালী মহলের অবৈধভাবে পদ্মা নদীর তীরবর্তী ও বসতী এলাকায় অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কাজ।
অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ বালি উত্তোলনের বিষয়টি সঠিক নয়। বালি উত্তোলনের ঘটনায় মাঝে মধ্যেই পদ্মা নদীতে মোবাইল কোর্ট করে বালি উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানা করা হয়। তবে সার্বক্ষনিক সেখানে বসে থাকাতো সম্ভব হয় না। আবারও অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে তিনি জানান।
ভূক্তভোগী এলাকাবাসী অবৈধভাবে বালি উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন