টাঙ্গাইলে ঘাটাইলে বনের ভেতর তিন শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ মামলায় জাহিদুল (২০) নামের আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হাসানাতের আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। পরে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এ নিয়ে এই মামলায় মোট গ্রেফতারকৃত ৫ আসামীর মধ্যে ৪ আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি প্রদান করলো। সবাই জের হাজতে আটক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২৬ জানুয়ারি ঘাটাইলের একটি স্কুলের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় ও দোয়া অনুষ্ঠান ছিল। বিকেলে চার বান্ধবী ও দুই বন্ধু মিলে পাহাড়ি এলাকায় ঘুরতে গেলে ঝড়কা বন এলাকায় ১০/১২ জম বখাটে এক বান্ধবী ও দুই বন্ধুকে গাছের সাথে বেধে অপর তিনজনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ওই চার ছাত্রী তাদের একজনের নানীর বাড়ি বন এলাকায় আশ্রয় নেয়। পরে সেখান থেকে মোবাইল ফোনে অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে তারা পুলিশকে অবহিত করে। পরে পুলিশ সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করে।
গত ২৭ জানুয়ারি ধর্ষিত তিনজনের মধ্যে এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ঘাটাইল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৪ জন স্বিকারক্তি মূলক জবান বন্দি দেয়।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের গাইনি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার ও টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার রেহানা পারভীন জানিয়েছেন, নির্যাতিতাদের ডাক্তারী পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সফিকুল ইসলাম জানান, থানায় মামলা হওয়ার পরেই আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মোট ৫ জনকে গ্রেফতার হয়েছে। এদের মধ্যে চারজন স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দিয়েছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন