শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সীমান্ত হত্যা বেড়ে গেছে

৩১ দেশে রাষ্ট্রদূত ভবন হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০০ এএম

সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বিএসএফের হত্যাকান্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ বছর সীমাস্ত হত্যা বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে যে সম্পর্ক তার মধ্যেই এই সীমান্ত হত্যা বেড়ে যাওয়া দুঃখজনক। এটা আমাদের একটা উদ্বেগের বিষয়। গতকাল রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালি সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনা নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশেদ আলম প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, সীমান্ত হত্যা নিয়ে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। আমরা সীমান্তে কোনো নাগরিকের হত্যা কামনা করি না। দু’দেশের সীমান্তে প্রাণঘাতি অস্ত্র ব্যবহার করা যাবে না এমন চুক্তি ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সামান্য লোভের কারণে অনেকেই সীমান্ত অতিক্রম করেন। তাই কেউ যেন লোভের কারণে সীমান্ত অতিক্রম না করেন।

করোনাভাইরাস ইস্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডবিøউএইচও) স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছে। তাই, আমরা চীনা নাগরিকদের অন অ্যারাইভাল ভিসা স্থগিত করেছি। তবে তাদের জন্য ভিসা বন্ধ করা হয়নি। ভিসার জন্য মেডিকেল সার্টিফিকেটসহ নিয়মমাফিক আবেদন করতে পারবেন তারা। তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা চলাকালীন বিশেষ করে আগামী একমাসের মধ্যে বাংলাদেশে চলমান বিভিন্ন প্রকল্পে যেন চীন থেকে নতুন লোক আনা না হয়, এসব বিষয়ে এরই মধ্যে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদ‚তকে বার্তা পাঠানো হয়েছে।

বিশ্বের ৩১ দেশে রাষ্ট্রদূত ভবন হচ্ছে
এদিকে ২০২৪ সালের মধ্যে বিশ্বের ৩১টি মিশনে চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। জাতীয় সংসদের অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, যেসব দেশে বাংলাদেশের চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে সেসব দেশে চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ/ক্রয়ের নিমিত্তে স্ট্যান্ডার্ড ডিজাইনভিত্তিক একটি বৃহৎ পরিকল্পনা প্রণয়ন করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে। ২০১৬ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনটি পর্যায়ে এসব বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে ৩১টি মিশনে নিজস্ব চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ/ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। এরইমধ্যে প্রথম পর্যায়ে রিয়াদ ও টোকিওতে নিজস্ব চ্যান্সারি ও রাষ্ট্রদূত ভবন নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। কোপেনহেগেন, রোম, লস অ্যাঞ্জেলেসে চ্যান্সারি ভবন ও রাষ্ট্রদূত ভবন ক্রয় করা হয়েছে। আঙ্কারা, বন্দরসেরি বেগওয়ান, ইসলামাবাদ, থিম্পু, বার্লিন, রিয়াদ ও জেদ্দাতে নিজস্ব জমিতে ভবন নির্মাণের প্রকল্প চলমান রয়েছে।

এছাড়াও লিসবন, ভিয়েনা, এথেন্স, কায়রো, হেগ, পুত্রজায়া, ক্যানবেরা, বেইজিংসহ আরও কয়েকটি স্থানে প্রকল্প গ্রহণ ও তৈরি ভবন/জমি ক্রয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি সংসদকে জানান। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন