অর্থনৈতিক রিপোর্টার : রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিপরীতে সরকার প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ছাড় করেছে। জাতীয় সংসদে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরের বাজেট পাসের আগের দিন গত ২৯ জুন এ অর্থ ছাড় দেয়া হয়েছে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তহবিল সহায়তা/পরিশোধিত মূলধন প্রদান/শ্রেণীবিন্যাসজনিত প্রভিশন ঘাটতি পূরণ, অনুন্নয়ন খাতে নগদ ঋণ এবং ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- গ্রামীণ ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক (ইউকে), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) এবং আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ বরাদ্দের বিপরীতে বেশ কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিশোধিত মূলধনের সরকারি অংশের অবশিষ্ট ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের শ্রেণীবিন্যাসজনিত প্রভিশন ঘাটতি মেটাতে ১৪০ কোটি ৮ লাখ টাকা, সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিমিটেডের পরিশোধিত মূলধন বাবদ ১৭৮ কোটি ৪১ টাকা এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি বাবদ ৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এই চার আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সব বিধি-বিধান ও অনুশাসনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া যে উদ্দেশ্যে এ অর্থ দেয়া হয়েছে তা ছাড়া অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না এবং ভবিষ্যতে এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দায়ী থাকবেন। অর্থ বিভাগের অধীনে ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ব্যাংকের মূলধন পুনর্গঠনে বিনিয়োগ খাতের বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশনকে ২০০ কোটি টাকা তহবিল সহায়তা বাবদ ঋণ দিয়েছে। এ ঋণ বিএইচবিএফসির অনুকূলে সুদযুক্ত ঋণ হিসেবে গণ্য হবে। ঋণের সম্পূর্ণ অর্থ বিএইচবিএফসি কর্তৃক পরিচালিত গৃহ নির্মাণ ঋণ খাতে ব্যবহৃত হবে। এ ঋণের বার্ষিক সুদের হার হবে ৩ শতাংশ। এ ঋণ ২০ বছরে ষান্মাসিক ভিত্তিতে ৪০টি সমান কিস্তিতে আসল ও সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। ঋণের টাকা উত্তোলনের তারিখ থেকে ৫ বছর পর এ ঋণের টাকা আদায়যোগ্য। তবে প্রথম ৫ বছরের জন্য সুদ দিতে হবে। এ অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সব বিধি-বিধান ও অনুশাসনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যে উদ্দেশ্যে এ অর্থ দেয়া হলো ওই উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না এবং ভবিষ্যতে এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম দেখা দিলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দায়ী থাকবেন।
এ ছাড়াও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ২৫ কোটি টাকা মূলধন পুনর্গঠন বাবদ অনুমোদিত এবং পরিশোধিত মূলধন বৃদ্ধির শর্তে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ অর্থ ব্যয়ে প্রচলিত সব বিধি-বিধান ও অনুশাসনাবলী যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে। যে উদ্দেশ্যে এ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ওই উদ্দেশ্য ছাড়া অন্য কোনো খাতে এ অর্থ ব্যয় করা যাবে না। ভবিষ্যতে এ অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারী দায়ী থাকবেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন