স্টাফ রিপোর্টার : আদালতের আদেশ অমান্য করে তৃতীয় পক্ষের কাছে ফ্লোর স্পেস ও গাড়ি পার্কিং করার অভিযোগে রূপায়ণ হাউজিং লি:-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গত ৯ জুন প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেডের আইন কর্মকর্তা জি এম সাজ্জাদ ফয়সাল নোটিশটি দাখিল করেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, রূপায়ণ তাদের কোম্পানীর সঙ্গে চুক্তি করে তা ভঙ্গ করে প্রতারণা করেছে। এ সংক্রান্ত মামলায় হাইকোর্ট ও ঢাকা জজ কোর্টের দেয়া রায় অমান্য করেছে।
জানা যায়, প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড গত ২০১০ সালের ১৩ মে ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের ৫৪ দশমিক ৯০ শতক জমির উপর স্থিত রূপায়ণ হাউজিং লিমিটেড কর্তৃক নির্মিতব্য রূপায়ণ ট্রেড সেন্টার এর ১১ তলায় ২১ দশমিক ৫০৭ বর্গফুট ফ্লোর ও ভবনের নিচে ৬টি গাড়ী পার্কিংয়ের জায়গা ক্রয় করে। যার মূল্য ১৭ কোটি ৯৪ লক্ষ ৭ হাজার ৪ শত টাকা। এর মধ্যে ১৫ কোটি টাকা পরিশোধ করে প্রিমিয়ার সিমেন্ট।
পরবর্তীতে একই জায়গা দাম বেশি নিয়ে সিলভার কেল প্রপার্টিজ-এর কাছে বিক্রি করে রূপায়ণ। বিষয়টি প্রিমিয়ার কর্তৃপক্ষ জেনে রূপায়ণের কাছে উল্লেখিত জায়গা বুঝে নিতে সাবকবলার বিষয়ে রেজিস্ট্রি করতে বললে তাতে অস্বীকৃতি জানায় হাউজিং। এ অবস্থায় স্পেসটি তৃতীয় পক্ষের কাছে হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারী চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করে।
শুনানী শেষে আদালত প্রিমিয়ারের পক্ষে রায় দেন। আপিলেও হেরে যায় রূপায়ণ। রায়ের পরেও জায়গাটি সিলভার কেলকে সাবকবলা রেজিষ্ট্রি করে রূপায়ণ। সিলভার কেল ও রূপায়ণের মধ্যে সাবকবলা রেজিষ্ট্রির জায়গাটির মূল্য হিসেবে লেখা হয় বিশ কোটি ৩৩ লক্ষ তের হাজার টাকা।
সাবকবলা দলিলে সম্পত্তির মূল্য ১৪ কোটি তেষট্টি হাজার সাতশত টাকা কম দেখিয়ে উক্ত টাকার স্ট্যাম্প, রেজিঃ ফি, উৎস কর, স্থানীয় কর ও ভ্যাট বাবদ প্রায় ২ কোটি উপরে। দুর্নীতির মাধ্যমে বিশাল অংকের টাকা সহকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অপরাধ সংগঠনের প্রচেষ্টা করা হয়।
প্রতারণা ও সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অপরাধ প্রচেষ্টা ও আদালতের আদেশ অমান্য করে। এসব বিষয় তদন্ত করতে দুদক বরাবর আবেদন করেছেন প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলস লিমিটেড। আদালত তার আদেশে বাদীর আবেদন মঞ্জুর করে সম্পত্তির সিডিউল প্রপার্টি বাদী ছাড়া অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারী করে ঢাকার যুগ্ম জেলা জজ মো: ফজলে এলাহী ভুঁইয়া।
এ বিষয়ে রূপায়ণ হাউজিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. মুকুলের কাছে জানতে চাইলে ইনকিলাবকে বলেন, আমি আগে ওই রূপায়ণে ছিলাম এখন নেই। আমি তেমন কিছু জানি না বলেও জানান তিনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন