শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

শপিংমলগুলোতে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা

প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : মার্কেটগুলোতে প্রতিদিনের মতোই গতকালও ছিল মানুষের আনাগোনা, কেনাকাটার ব্যস্ততা। আর এই মার্কেটগুলোকে ঘিরে রাস্তাগুলোতে ছিল যানজট। মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয়েছে ঈদ বাজার করতে আসা মানুষের জনস্রোতের কারণে। বিশেষ করে বসুন্ধরা সিটির সামনের পান্থপথ সড়কে পথচারিদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে বসে থাকতে হয়। এ ছাড়া রাজধানীর অন্যান্য সড়ক ছিল ফাঁকা।
বিপনী বিতানগুলোতে চলছিল শেষ মুহ‚র্তের কেনাকাটা। তবে ঈদের বাজারের নতুন একটি ট্রেন্ড চালু হয়েছে, তা হচ্ছে উপহার দেয়ার প্রচলন বলে জানান নাজনীন নাহার। তিনি বলেন, বেশ কিছু দিন থেকে এই চলটা শুরু হয়েছে। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব একে অপরকে এই উপহার দেয়ার চলটা বেশ জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে।
সকালের দিকে দেশের অস্থির পরিস্থিতির কারণে কেনাকাটায় কিছুটা ভাটা পড়লেও দুপুরের পর থেকে জনগণ ঈদের শেষ মুহ‚র্তের কেনাকাটায় যেতে থাকেন শপিংমলগুলোতে। গতকাল শনিবার সারাদিন ক্রেতাদের কমবেশি উপস্থিতি থাকলেও সন্ধ্যার পর থেকে মার্কেটগুলো ক্রেতাদের আনাগোনায় হয়ে উঠে জমজমাট। মিরপুর রোডের শপিংমল রাপা প্লাজা, এ আর প্লাজা, সানরাইজ প্লাজা, অরচার্ড প্লাজা, এ আর এ সেন্টার, ক্রিসেন্ট মার্কেট প্রভৃতি মার্কেটে ক্রেতাদের ভড় ছিল গভীর রাত পর্যন্ত।
বসুন্ধরা সিটি শপিংমলে এবছর ঈদের কেনাকাটায় ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এর প্রধান কারণ এ শপিংমলের এক ছাদের নিচে প্রয়োজনের সব উপকরণই পাওয়া যায়। শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, ছেলেদের শার্ট-পাঞ্জাবি যেমন রয়েছে তেমনি রয়েছে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর দোকান। কারণ ঈদে ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রীর কেনাকাটাও হয় ভালই। সে কারণে এক মার্কেটে ঘুরে ফিরে কেনার সুযোগ ও স্বাচ্ছন্দ্য দুই রয়েছে এই শপিং কমপ্লেক্সে। তাই ক্রেতারা যেখান থেকেই ঈদের পোশাক কিনুক না কেন একবারের জন্য হলেও ঘুরে যাচ্ছেন এ মার্কেট থেকে। গতকাল শনিবারে বসুন্ধরায় তরুণ-তরুণীদের আনাগোনা ছিল বেশি দেশীদশে। সেখানে ১০ ভাগ ছাড়ে পণ্য বিক্রি হয়েছে। আর এই অফার নিতে ক্রেতারাও ভিড় জমান ওই ফ্লোরে। তরুণ-তরুণীদের আনাগোনায় জমজমাট ছিল এই শপিং কমপ্লেক্স। পোশাক কেনার জন্য এ মার্কেটে ছেলেদের আগ্রহের কেন্দ্রে ছিল ইয়ালো, স্মাটেক্স, লারিভ, টেক্সমার্ট, ইনফিনিটি, ক্যাটস আই, দর্জিবাড়িতে। আর মেয়েদের জন্য অসংখ্য দোকান আর নানা ডিজাইনের কালেকশন। এসব ডিজাইনের মধ্যে পাকিস্তানী, ভারতীয় পোশাকের চাইতে এবছর দেশীয় ব্রান্ডের পোশাকের দিকেই তরুণীদের নজর দেখা যায় বেশি। এসবের মধ্যে ইয়ালো, সেইলর. নইর, ইষ্টটাসি ও দেশীদশের শোরুমগুলোতে ছিল তরুণীদের আগ্রহ।
ঢাকার ফুটপাতগুলো জমে উঠেছে শেষ সময়ের কেনাকাটায়। এদিকে, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের দেশীয় কাপড় ও দেশজ ঐতিহ্যনির্ভর পোশাকের মার্কেটের কেনাকাটা এই শেষ সময়ে আরো বেড়েছে। দাম কম হওয়ায় এ মার্কেটের পোশাকের কদর ক্রেতাদের কাছে সবসময়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন