শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

খাগড়াছড়ির জেলারের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ৩ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

খাগড়াছড়ি জেলা সংবাদদাতা : বন্দী ও কারারক্ষীদের সাথে অসদাচরণসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে খাগড়াছড়ি জেলা কারাগারের জেলার মাহবুব কবিরের বিরুদ্ধে। গত ডিসেম্বরে খাগড়াছড়িতে যোগদান করেন তিনি। আর তিন মাস আগে বদলি হয়ে যান সাবেক জেলার মাহবুব। জেল সুপারের বদলির পর ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেয়া হয় জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে। অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকায় সার্বক্ষণিক জেলা কারাগারের থাকা সম্ভব হচ্ছে না ভারপ্রাপ্ত জেল সুপারের। এই সুযোগেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জেলার মাহবুব কবিরের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ রয়েছে, কারাবন্দীদের চাল-ডালসহ অন্যান্য সকল ডায়েটে ব্যাপক অনিয়ম করা হচ্ছে, কারা ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে বন্দীদের প্রাপ্য চাল ও গম বিক্রি করে দেয়া হচ্ছে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে, কারা অভ্যন্তরে ক্যান্টিনে বন্দীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক খাবার ও প্যাকেটজাত পণ্য থেকে দ্বিগুণ মূল্য আদায় এবং লাভের প্রায় ৯০ শতাংশই নিজের পকেটস্থ করছেন জেলার, এছাড়া করাবন্দীদের সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা স্বজনদের কাছ থেকে ৩০-১০০ টাকা এবং বিশেষ ব্যবস্থায় জেলারের নিজের কক্ষে বন্দী ও স্বজনদের পাশাপাশি বসিয়ে সাক্ষাতের জন্য আদায় কররা হচ্ছে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত।
খাগড়াছড়ি দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন মজুমদার জানান, জেলারের বিরুদ্ধের অভিযোগের শেষ নেই। নানা অনিয়মের পাশাপাশি প্রতিজন বন্দীর জামিননামায় ১ থেকে ৩ হাজার এবং ওকালতনামায় ২ থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন তিনি।
বেসরকারী কারা-পরিদর্শক সুদর্শন দত্ত বলেন, জেলারের এসব অনিয়মের প্রসঙ্গে আমি নিজেও মৌখিকভাবে ভারপ্রাপ্ত জেল সুপারকে জানিয়েছি। মূলত, জেল সুপার না থাকার দরুন অনিয়মের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
তবে অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে জেলার মাহবুব কবির বলেন, কারারক্ষীদের অনিয়ম করতে না দেয়ায় আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ভারপ্রাপ্ত জেল সুপার দেওয়ান মওদুদ আহমেদ বলেন, জেলারের বিরুদ্ধে লিখিতভাবে অনিয়মের নানা অভিযোগ করে কারারক্ষীরা। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হচ্ছে। দায়িত্ব দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আবুল আমিন জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন, কিছুদিনের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন