কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন
কক্সবাজার থেকেই সরাসরি সেন্টমার্টিন যাওয়া যাবে। যেতে হবে না টেকনাফে। এই রুটে চালু হয়েছে বিলাসবহুল জাহাজ সার্ভিস। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন রুটে নিয়মিত সরাসরি সাগর পথে জাহাজ চলাচল করছে। গত ৩১ জানুয়ারি থেকেই এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস নামের জাহাজটি তাদের কার্যক্রম শুরু করে।
কর্ণফুলীতে ভ্রমণকারী নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান জানান, এই জাহাজে ভ্রমণআরামদায়ক। ফলে পর্যটকদের সমুদ্র ভ্রমণের স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি অর্থ ও সময় বাঁচলো। তিনি আরো বলেন, পর্যটকদের সেবার সাথে প্রতিষ্ঠান ও কক্সবাজারের সুনাম জড়িত। তাই পর্যটকদের সন্তুষ্টির দিকে নজর রেখে জাহাজের শিডিউল মেইনটেইন ও পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
এ পর্যন্ত টেকনাফ থেকে অর্ধ ডজন জাহাজ নৌপথে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাতায়ত করে আসছিল। পর্যটকরা কক্সবাজার থেকে নৌপথে সরকারি সেন্টমার্টিন যেতে পারলে একই সাথে অর্থ ও সময় সাশ্রয় হয়। নতুন এই জাহাজটি পরিচালনায় থাকছে কর্ণফুলী শিপবিল্ডার্স লি. নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এর পরিচালনায় থাকছেন ফারহান এক্সপ্রেস ট্যুরিজম। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা বিআইডবিøওটিসি’র জার্মানি থেকে আমদানিকৃত উপক‚লীয় যাত্রীবাহী জাহাজ বহরের নৌযান সাবেক এমভি আলাউদ্দিন আহমদকে নতুনভাবে সাজিয়ে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস হিসেবে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
জাহাজটির কক্সবাজারের পরিচালক এম হোসাইনুল ইসলাম বাহাদুর জানান, কক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়া (এয়ারপোর্ট রোড) বিআইডবিøওটিএ ঘাট থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে নিয়মিত ছেড়ে যাবে জাহাজটি। কক্সবাজার থেকে জাহাজটি ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ৭টায়। সেন্টমার্টিন থেকে ছাড়বে প্রতিদিন বিকাল ৩টায়। উভয় দিক থেকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।
জানা যায়, এই জাহাজের ইকোনমি আসনের (২য় শ্রেণি চেয়ার) ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি জন ২ হাজার টাকা। এছাড়া বিজনেস শেণি আসন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৫শ’ টাকা। মোট ১৭টি লাক্সারি ক্লাস কেবিন রয়েছে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস জাহাজে। এদের মধ্যে ইকোনমি শ্রেণি কেবিন (২য় শেণি) এর ভাড়া ১২ হাজার টাকা ও লাক্সারি ক্লাস (ভিআইপি) কেবিনের ভাড়া ১৫ হাজার টাকা। প্রতিটি কেবিন ২ জন এর জন্য প্রযোজ্য, অতিরিক্ত প্রতি জনেরর আলাদা সাধারণ টিকেট কেটে নিতে হবে। প্রতিটি টিকেটের সাথে সৌজন্যমূলক নাস্তা অন্তর্ভুক্ত।
আয়োজকরা জানান, প্রায় ৫৫ মিটার দীর্ঘ ও ১১ মিটার প্রশস্ত জাহাজটিতে মেইন প্রাপালেশন ইঞ্জিন হচ্ছে দুইটি। আমেরিকার বিখ্যাত কামিন্স ব্র্যান্ডের এক একটির ক্ষমতা প্রায় ৬০০ বিএইচপি করে। জাহাজটি ঘণ্টায় প্রায় ১২ নটিক্যাল মাইল গতিতে ছুটতে পারে। রয়েছে অগ্নি নির্বাপন ব্যাবস্থা। জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম লাইফ জ্যাকেট, লাইফ র্যাফট, লাইফ বয়া-এর পাশাপাশি রয়েছে ইমারজেন্সি লাইফ সেভিং বোট। দীর্ঘ দিন এ উপক‚লীয় পথে অভিজ্ঞ মাস্টার ও ক্রু দ্বারা জাহাজটি পরিচালনা করা হয়। জাহাজের যাত্রীদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ নিযুক্ত থাকছেন বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন