দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা বেড়েই চলছে। চলতি বছরের শুরু থেকেই এই পর্যন্ত পানিতে ডুবে মারা গেছেন ১৩ জন পর্যটক এবং জীবিত উদ্ধার হয়েছে দেড়শো জন পর্যটক।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সাগর পাড়ে কোন বিপদ সীমানা না থাকার পাশাপাশি গার্ড কর্মীদের নির্দেশনা না মানায় অনাকাঙ্খিত এসব ঘটনা ঘটছে। নিরাপত্তা আরো জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। তাদের মতে এবিষয়ে কোন ধরণের অবহেলা পর্যটক বিমুখ হবে কক্সবাকার।
দেশি-বিদেশি ভ্রমন পিপাসু পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় এক নাম্বারে পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। সাগরের লোনাজলে শরীর ভেজানো আর জেটিস্কি-টিউবে চড়ে গা ভাসাতে কার না ভাল লাগে। তাইতো অনেকেই পরিবার-পরিজন কিংবা প্রিয়জনকে নিয়ে আনন্দে সময় কাটাতে ক্ষনিকের জন্য হলেও ছুটে আসেন এই সমুদ্র শহরে।
তবে কখনো কখনো নিজেদের অসাবধানতায় পর্যটকদের এই আনন্দ বেদনাবিধুর শোকের অশ্রুতে পরিনত হয়। সমুদ্রে গোসলে করার সময় ঘটে যায় বহু অনাকাঙ্ক্ষিত বিয়োগান্তক ঘটনা। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে লাইফ গার্ড কর্মীরা। পাশাপাশি আবহাওয়া পরিস্থিতি খারাপ থাকলে লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক করেন তারা। তবে অনেকেই শুনেন না তাদের কথা।
এদিকে সৈকত ব্যবস্থাপনা ও সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এপ্রসঙ্গে মেজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ জানান, নিরাপত্তার উপকরণ বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যটকদের সচেতনতা আরও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।#
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন