বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

কক্সবাজারের মানুষ প্রতিনিয়ত ভূমি হারাচ্ছে - বিশ্ব বসতি দিবসে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আলোচনা সভায় এমপি আশেকুল্লাহ রফিক

কক্সবাজার ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ অক্টোবর, ২০২২, ১:২০ পিএম

বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আয়োজন করে এক বর্নাঢ্য র‍্যালী ও আলোচনা সভা। সোমবার

সকালে বর্নাঢ্য র‍্যালী শেষে কউক ভবনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডোর (অবঃ) মুহাম্মদ নুরুল আবছার।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আশেকুল্লাহ রফিক বলেন, কক্সবাজার সাগর পাহাড় নিয়ে গঠিত। এখানে ভূমি ব্যবহার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। জীবন জীবিকা ও জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারণে আমাদের মানুষ ভূমিহীন হচ্ছে। এছাড়াও খাস জমি গুলো সরকারের বিভিন্ন বড় বড় প্রজেক্টের জন্য নেয়া হচ্ছে। দেশের বড় বড় কোম্পানী গুলোও জমি ক্রয় করে নিচ্ছেন। এতে আমরা প্রতিনিয়তই ভূমিহীন হচ্ছি।
কক্সবাজারের মানুষ যেহারে প্রতিনিয়ত ভূমি হারাচ্ছে এতে করে মানুষ যে কেন সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। তাই একটি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলের জন্য বসতি নিশ্চিত করা যেতে পারে।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষে
ভূমিহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ব বসতি দিবসে বিয়টি নজরে রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কউক চেয়ার কমোডোর মুহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মহাপরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাবে। কক্সবাজারের কোন ভূমি অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা যাবেনা।
তিনি বলেন, আজ বিশ্ব বসতি দিবস। প্রতি বছর অক্টোবরের প্রথম সোমবার সারাদেশে এই দিবসটি পালিত হয়। ১৯৮৫ সালে এই দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ। বিশ্ব জুড়ে সব মানুষের নিরাপদ ও মানসম্মত বাসস্থান নিশ্চিতের সচেতনতা বাড়াতে ১৯৮৬ সাল থেকে এই দিনটি পালিত হয়ে আসছে। এ বছরও অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এই দিবসটি পালিত হচ্ছে।

কক্সবাজারে প্রায় ১.২০ মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ায় এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব জাতীয় গড়ের প্রায় ৩/৪ গুণ। এ কারণে এখানে বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠেছে ও এগুলো বর্ণিত বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে এবং প্রাকৃতিক ইকো-সিস্টেমে একটি বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে।

ফলাফল হিসেবে কক্সবাজার বাংলদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় শহরগুলির মধ্যে একটি। তাই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার এবং স্থানীয় উপায়গুলি যাচাই করার মাধ্যমে এই অঞ্চল কার্যকরভাবে জলবায়ু সমাধানে অবদান রাখতে পারে। শহরটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা স্থানীয়করণের অবদান রাখার সম্ভাবনা রাখে।
একটি টেকসই পদ্ধতিতে সুনীল অর্থনীতি, মৎস এবং ইকো-ট্যুরিজম খাতের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব। এ বিষয়ে কক্সবাজার স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য পূরণ এবং সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করার একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যকে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করা, জলবায়ু সংকট মোকাবেলার সম্ভাব্য সমাধান বের করা এবং এসডিজি আরও স্থানীয়করণ করা সম্ভব।

সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের র্ম বিষয়ক সম্পাদক এড, সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এবং বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন