কক্সবাজার সৈকত আগের রূপে ফিরতে শুরু করেছে। ঈদুল আযহার ৩য় দিনে গত বুধবারে কক্সবাজার সৈকতে ছিল লাখো পর্যটকের ঢল। পাশাপাশি বেড়েছে হোটেল মোটেলে বুকিং। এসময় বিদেশি অনেক পর্যটকদেরও দেখা গেছে সৈকতে। শুধু সমুদ্র সৈকত নয় কক্সবাজারের সব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে। ইনানী, হিমছড়ি, টেকনাফ, মহেশখালী ও ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কেও পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে পর্যটকদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত এবং নিরাপত্তার জন্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ জানিয়েছেন, ঈদুল আযহার পরে কক্সবাজারে ব্যাপকহারে পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এসব পর্যটকদের যাতায়াত এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পাশাপাশি ট্যুরিস্ট পুলিশ বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নজরদারিসহ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার জানিয়েছেন, হোটেলগুলোতে বুকিং বেড়েছে। পর্যটক সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি দেশ-বিদেশের পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণের জন্য আহ্বান জানান।
গত বুধবার সৈকতের লাবনী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, ডায়াবেটিক পয়েন্ট ও হিমছড়ি পয়েন্টে দেখাগেছে পর্যটকের ব্যাপক উপস্থিতি। এসময় সুগন্ধা পয়েন্টে কয়েকজন পর্যটক জানিয়েছেন, ঈদের পরে কক্সবাজার এসেছেন তারা। ঈদের আগে এসে কক্সবাজার ঈদ করার কথা থাকলেও কোরবানির পশু বেচাকেনা নিয়ে সময় হয়নি। তাই ঈদের পরে এসেছেন। তারা জানান, কক্সবাজারের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও শহরের রাস্তা ঘাটের সংস্কার কাজও প্রায় শেষ। এতে তারা সাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন।
এদিকে এই ব্যাপক পর্যটক উপস্থিতির কারণে হোটেল মোটেল মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেবা সংগঠের কর্মীরা মনে করছেন আগামী শনিবার পর্যন্ত ভালোই হবে তাদের ব্যবসা। তবে সেন্টমার্টিনে পর্যটক যাতায়াতে কড়াকড়ির কারণে নাখোশ পর্যটক ও পর্যটক সেবিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন