শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয় মানুষ,পণ্য নয়

সংবাদ সম্মেলনে চীনা রাষ্ট্রদূত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভাইরাসে সংক্রমিত হয় মানুষ, পণ্য নয় মন্তব্য করে ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেছেন, করোনাভাইরাস ছড়ানোর কারণে বাংলাদেশ যদি চাইনিজ পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়, তবে তা হবে দুঃখজনক। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। করোনাভাইরাস ও বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ চায়না চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিসিসিআই) ও চীনের দূতাবাস।

রাষ্ট্রদূত বলেন, করোনাভাইরাস খুবই গুরুত্বপ‚র্ণ ইস্যু। এটি মহামারি আকার ধারণ করার পর শুধু চীন নয়, পুরো বিশ্বই এটিকে গুরুত্বের সাথে দেখছে। চীন করোনা মহামারিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে টাস্কফোর্স তৈরি করেছে। যদিও প্রথমে আমরা জানতাম না এটি কী ধরনের ভাইরাস। পরে তা দ্রুতই জানা গেছে এবং এর পরবর্তী পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে। প্রতিষেধকও আসবে। ৬০ হাজার গবেষক এ ভাইরাসের ওপর কাজ করছেন। চীনের সক্ষমতা আছে করোনাভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণের। তিনি আরো বলেন, ভাইরাস কোনো পাসপোর্ট দেখে না। যে কোনো দেশেই ঢুকতে পারে। তাই এটি শুধু চীনের জন্য নয়, পুরো বিশ্ববাসীর শত্রæ। আমরা এটির বিরুদ্ধে লড়াই করছি।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস আসার আগে তিনটি স্তর পার হতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ কর্মরত যেসব চীনা দেশে গিয়েছিলেন, তাদের আপাতত বাংলাদেশে ফেরত আসতে দেয়া হচ্ছে না। এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বাংলাদেশের কথা বিবেচনা করেই। এদেশে কর্মরত ১০ শতাংশ চাইনিজ স্বদেশে ফেরত গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে প্রকৌশলীও রয়েছেন। এদের অনেকে মেগা প্রজেক্টের সাথে যুক্ত।

এ ভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশের জনগণের করণীয় বিষয়ে তিনি বলেন, গণমাধ্যম সঠিক ও বিজ্ঞানসম্মত তথ্য প্রচার করলেই জনগণ করণীয় বুঝতে পারবে। সবক্ষেত্রে প্রয়োজন সচেতনতা।

করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ-চীন পণ্য আমদানি-রফতানি বা বাণিজ্যে প্রভাব পড়বে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদ‚ত বলেন, ভাইরাসে সংক্রমিত হয় মানুষ, পণ্য নয়। সুতরাং এ ভাইরাসের জন্য পণ্য আমদানি কমিয়ে দেয়া হলে সেটা হবে দুঃখজনক। তবে করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ যেভাবে চীনের পাশে আছে, সেজন্য ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।

করোনাভাইরাস ছড়ানোর পর চীনের বাজারে খাবারের দাম বেড়ে গেছে, এমনকি কিছু জায়গায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন বলে অভিযোগের বিষয়ে রাষ্ট্রদ‚ত বলেন, চীনে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খাবার পাচ্ছেন না, এই তথ্য ঠিক নয়। চীনের মানুষ খাবার পেলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও পাবেন।

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১১০৭ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪১৩৮ জন। আক্রান্তদের মধ্যে দু’জন বাংলাদেশি রয়েছেন। তারা আক্রান্ত হয়েছেন সিঙ্গাপুরে। চীনের বাইরে সিঙ্গাপুরসহ আরও ২৭টি দেশ ও অঞ্চলে এ প্রাণঘাতী ভাইরাস ছড়িয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন